বহরমপুরে শুটআউট ! হত্যা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সহ -সভাপতি

Yellow crime scene do not cross barrier tape in front of defocused background. Horizontal composition with selective focus and copy space.

রাজ্যে  শুটআউটের ঘটনা অব্যাহত। এবার  বহরমপুরে। তৃণমূল নেতাকে  লক্ষ্য করে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ৭-৮ রাউন্ড গুলি চালিয়ে  খুন করা হয় বহরমপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সহ – সভাপতি প্রদীপ দত্তকে।

 

কীভাবে ঘটলো এই ঘটনা ?


 

বহরমপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সহ- সভাপতি তথা ব্যবসায়ী প্রদীপ দত্ত  প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে যান। প্রতিদিনের মত আজ সকাল ৬ঃ৩০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে হাঁটতে বেরন। তখনই দুই দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা  প্রদীপ দত্তকে লক্ষ্য করে ৭-৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তিনি এগনোর চেষ্টা করেন, কিন্তু রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি সেখানে উপস্থিত হয় বহরমপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ নেতাকে উদ্ধার করে  মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, হাসপাতালের তরফ থেকে  তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে  বহরমপুরের রাধারঘাট এলাকায়। কেন এই ঘটনা ঘটলো? কারাই বা জড়িয়ে রয়েছে এই ঘটনার পিছনে  তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই নিহত প্রদীপ বাবুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ?  তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার  সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চলছে তদন্ত এবং আততায়ীদের খোঁজ।

এই নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য রাজীব হোসেন বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রদীপ দত্ত রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। নিজের ব্যবসার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকতেন তিনি। তাই রাজনৈতিক কারণে খুন নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।