• facebook
  • twitter
Wednesday, 19 March, 2025

হাওড়া গ্রামীণ এলাকার সব স্কুলে মিলবে স্যানিটারি ন্যাপকিন

জেলার মোট ১৫৭টি সংঘকে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রত্যেকটি সংঘ পিছু জেলা পরিষদের ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হবে।

এবার থেকে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে নিয়মিতভাবে সরবরাহ করা হবে স্যানিটারি ন্যাপকিন। ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সংক্রমণ রুখতে এই উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়া জেলা পরিষদ। জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির কাজ করানো হবে। সেগুলি বিভিন্ন ব্লকে থাকা সংঘের মাধ্যমে স্কুলগুলিতে সরবরাহ করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী।

অনেক স্কুলে স্যানাটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন থাকলেও তা বেশিরভাগ সময়ই খালি পড়ে থাকে। তাই গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে যাতে নিয়মিত ও পর্যাপ্ত স্যানিটারি ন্যাপকিনের জোগান থাকে সেই কারণে উদ্যোগ গ্রহণ করল জেলা পরিষদ। বাইরে থেকে বেশি দামে না কিনে খুব কম খরচে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে ন্যাপকিন তৈরির কাজ করানো হবে। এর ফলে মহিলাদের রোজগার আরও বাড়বে।

স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির পর সেগুলি বিভিন্ন ব্লকে থাকা সংঘের মাধ্যমে স্কুলগুলিতে সরবরাহ করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। এজন্য হাওড়া জেলা পরিষদ সংঘগুলিকে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট প্রদান করবে। ইতিমধ্যেই দুটি সংঘকে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন, ইনসিনেরেটর এবং ন্যাপকিন তৈরির জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট দেওয়া হয়েছে। সেই সংঘের অধীনে থাকা একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের দিয়ে খুব কম খরচে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করেছেন। এছাড়াও এই কাজে অন্য গোষ্ঠীর মহিলাদেরও যুক্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করে আয় বেড়েছে মহিলাদের।

জানা গিয়েছে, জেলার মোট ১৫৭টি সংঘকে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রত্যেকটি সংঘ পিছু জেলা পরিষদের ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হবে। ইতিমধ্যেই ৭৪টি সংঘকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবহৃত ন্যাপকিন নষ্ট করার জন্য সংঘগুলির কাছে ইনসিনেরেটর নেই। এবার সেই যন্ত্রও দেবে জেলা পরিষদ।