বর্ধমান হাসপাতালে মজুত স্যালাইনের পরিমাণ দ্রুত কমছে, রোগীদের পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ

ফাইল চিত্র

রাজ্যের অন্যতম বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবার স্যালাইন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মেদিনীপুরের পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের স্যালাইন বিতর্ক শুরু হতেই বর্ধমানে এই সংকট দেখা দেয়। কারণ আগেই ওই কোম্পানির স্যালাইন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়ভাবে স্যালাইন কিনে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু এবার তাদের স্যালাইন ঘাটতি কিভাবে পূরণ হবে তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র বর্ধমান হাসপাতালেই নয় জেলা জুড়ে সরবরাহ ঠিকঠাক রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত শহর বর্ধমানের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাজ্যের অন্তত পাঁচ ছটি জেলা এবং ভিন রাজ্যের রোগীদের চিকিৎসা চলে। এই অবস্থায় প্রতিদিন এখানে স্যালাইনের চাহিদা অনেকটাই বেশি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় এক হাজার আরএল স্যালাইন প্রয়োজন। এদিকে এর আগে শতাধিক চিকিৎসকের অভিযোগে মেদিনীপুরের ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজারের মতো নিষিদ্ধ স্যালাইন গুদামে সিল করা অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে আরএল স্যালাইনের যোগান কি ভাবে চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী উদ্বেগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

সূত্রের খবর, জেলাতে এখনই প্রতিদিন প্রায় দেড় লক্ষের মতো স্যালাইন দরকার। সেই যোগান কিভাবে চলবে, তা নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। এই প্রশ্নে হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, আপাতত ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে আরএল স্যালাইন কিনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কতদিন এ ভাবে চলবে, তা নিয়ে চিন্তা আছে। তারাই বা কতটা সরবরাহ করতে পারবে, তার কোনও গ্যারান্টি দেওয়া হয় নি। জানা গিয়েছে, আরএল স্যালাইনের সরবরাহ বন্ধ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং হাসপাতালে।


বিশেষ সূত্রের খবর, জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি ব্লকের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে রয়েছে আরএল স্যালাইনের অভাব। এদিকে স্যালাইনের যোগান কি ভাবে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, যোগান ঠিকঠাক রাখতে এরই মধ্যে ৩০ হাজার ইউনিট স্যালাইন কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে। এই বরাত আগামী দুই সপ্তাহের জন্য। কয়েকদিন আগে স্যালাইন কিনতে অন্য একটি কোম্পানির সব কিছু যাচাই করে বরাত দেওয়া হয়। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকের দেওয়া ওই তথ্য প্রকাশ্যে এলেও আগামী দিনে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি বলেই দাবি একটা মহলের।