• facebook
  • twitter
Sunday, 22 September, 2024

আরজি করের প্রভাব নেই গ্রামে  দাবি জেলা পরিষদ অধ্যক্ষের

অপার্থিব ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ এই ডাক্তারদের বিশ্বাস করেন না। বর্ধমানের ডাক্তারপাড়া খোসবাগানে গেলে ঘটি বাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে হয়। মোটা টাকা ফিস, প্যাথলজি সেন্টার থেকে কমিশন, অ্যাম্বুলেন্স থেকে টাকার ভাগ নেওয়ার অভিযোগে এক শ্রেনীর চিকিৎসকদের প্রতি তাঁরা তিতিবিরক্ত।

মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পর এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে সরব হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম। তার কথায় আরজি কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের একটানা কর্মবিরতিতে কোন প্রভাব পড়েনি গ্রাম বাংলায়। এমনিতেই ডাক্তারবাবুদের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে গ্রামে বসবাসকারীদের। ফলে রোগীর চিকিৎসা ফেলে রেখে আন্দোলন মেনে নেননি অসহায় মানুষজন। শনিবার এমনটাই দাবি করলেন জেলা পরিষদ অধ্যক্ষ। তাঁর বক্তব্যে রীতিমত আলোড়ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

একটি সভায় যোগ দিতে এসে শুক্রবার মন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন। আর এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম সরাসরি জানালেন যে, ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই গ্রামের লোকজনের। তবে কলকাতায় এক ডাক্তারকে নৃশংসভাবে খুনের নিন্দা জানালেও তাঁরা এতদিন চিকিৎসা না করে আন্দোলনকে মানতে নারাজ। অপার্থিব ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ এই ডাক্তারদের বিশ্বাস করেন না। বর্ধমানের ডাক্তারপাড়া খোসবাগানে গেলে ঘটি বাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে হয়। মোটা টাকা ফিস, প্যাথলজি সেন্টার থেকে কমিশন, অ্যাম্বুলেন্স থেকে টাকার ভাগ নেওয়ার অভিযোগে এক শ্রেনীর চিকিৎসকদের প্রতি তাঁরা তিতিবিরক্ত। গরীব রোগীদের প্রতি ডাক্তারবাবুদের করুণা না থাকায় তাঁদের আন্দোলনে গ্রামবাসীর কোনও সমর্থন নেই বলে দাবি জেলা পরিষদ অধ্যক্ষের। এই আন্দোলনে রাজনীতির মদত রয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। যদিও চিকিৎসক খুনে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার তিনি।