• facebook
  • twitter
Tuesday, 1 October, 2024

বন্যা পরিস্থিতিতে বিধায়ক এলাকায় না আসায় বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল জমা জল নিয়ে রাজনীতি করছে। দলের দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'এলাকা জলমগ্ন থাকলে তার দায়িত্ব পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের। সবকিছু তৃণমূলের অধীনে থাকা সত্ত্বেও বিধায়কের ওপর দোষ চাপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

নিম্নচাপ ও ডিভিসি–র ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্য জুড়ে। বৃষ্টি কমলেও এখনও ভোগান্তি কমেনি সাধারণ মানুষের। বাড়ি থেকে বেরোলেই চোখে পড়ছে জমে থাকা জল। গত দু’মাস ধরে কখনও হাঁটুজল, আবার কখনও কোমর পর্যন্ত জলের মধ্যে চলাফেরা করছেন মালদহ জেলার ইংরেজবাজার বিধানসভার মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলোনি এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী একবারও খোঁজ নেননি বাসিন্দাদের পরিস্থিতি বা এলাকার অবস্থার ব্যাপারে।

সোমবার, হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একদল মহিলার সতর্কবাণী, ‘বিধায়ক এলাকায় এলে ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা হবে।’ তাঁদের অভিযোগ, বৃষ্টির কারণে এলাকা দীর্ঘদিন ধরে জলমগ্ন। প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও এখনও জল নেমে যায়নি। অথচ বিজেপি বিধায়ক ভোটের পর থেকে একবারও এলাকা পরিদর্শনে আসেননি। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, এটি পঞ্চায়েতের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, যেখানে তৃণমূলই প্রশাসন পরিচালনা করছে।

এক মহিলা বাসিন্দার কথায়, ‘সামনেই দুর্গাপুজো, কিন্তু আমাদের এখানে উৎসবের আনন্দ নেই। আমরা ভীষণ কষ্টে আছি।’ তৃণমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী প্রশান্ত দাসের অভিযোগ, শেষবার বিধায়ককে লোকসভা নির্বাচনের সময় এলাকায় দেখা গিয়েছিল। তার কথায়, ‘ভোটের আগে তিনি এলেন, কিন্তু ভোট মিটে গেলে আর আসেননি। এখন হাঁটুজল জমে রয়েছে, পঞ্চায়েতের তরফ থেকে জল নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পর রাস্তা ঢালাইয়ের কাজও শুরু হবে। কিন্তু বিধায়ক কি একেবারেই কোনো দায়িত্ব নেবেন না?’

ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য কাজল ঘোষের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক এলাকা পরিদর্শনে এলে বিক্ষোভের মুখে পড়বেন, এবং তা স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, ‘বিধায়ককে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়, কিন্তু এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না।’

তবে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল জমা জল নিয়ে রাজনীতি করছে। দলের দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘এলাকা জলমগ্ন থাকলে তার দায়িত্ব পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের। সবকিছু তৃণমূলের অধীনে থাকা সত্ত্বেও বিধায়কের ওপর দোষ চাপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’