• facebook
  • twitter
Sunday, 5 January, 2025

১০ দিন ধরে রেইকি, মালদহে খুনে বিহার–যোগ

বাবলাকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ সামি আখতার। তিনি বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা।

ফাইল চিত্র

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুনের ঘটনায় বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হল পুলিশ। নভেম্বর মাসে কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার ঘটনাতেও বিহার যোগ পাওয়া গিয়েছিল। মালদহ কাণ্ডেও কার্যত বিহার যোগ সম্পর্কে নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বাবলাকে খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা ১০ দিন ধরে রেইকি করেছিল। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আলাদা আলাদা হয়ে বিভিন্ন গলিপথে মানিকচকে পৌঁছে সেখান থেকে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

বাবলাকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ সামি আখতার। তিনি বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা। অপরজনের নাম টিঙ্কু ঘোষ। তাঁর বাড়ি ইংরেজ বাজারের গাবগাছি অঞ্চলে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিহার থেকেও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুষ্কৃতীদের মধ্যে কয়েকজনকে ইংরেজ বাজারের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুলদীপ মিশ্র কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবলার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েও ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের তারা এলাকায় ঢোকে। তারপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করেন, বাবলাকে খুনের ঘটনায় ১০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘১০ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়ে বিহার থেকে দুষ্কৃতী এনে দুলালকে খুন করা হয়েছে। নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের কর্তারা।’