মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে চলছে বিজয়া সম্মিলনী। এই কর্মসূচিতে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হাটতলায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। শাখা সংগঠনের পক্ষে ছিলেন জেলার মহিলা সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ, বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক সহ সকল প্রধান, উপ প্রধান, অঞ্চল সভাপতিরা। তিন থেকে চার হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
সোমবার এই সম্মিলনী থেকে প্রতিটি অঞ্চল থেকে ১০ জন করে প্রবীণ তৃণমূল কর্মীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ সকলেই সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই কাজে দেবে না বলে দাবি করেন তাঁরা। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা ভোটে ফের তৃণমূল কংগ্রেস জিতে চতুর্থবারের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা বলেন।
সোমবার এই মঞ্চে বেশ কিছু সংখ্যক বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান। প্রবীণ কর্মীদের সম্মানিত করতে পেরে তিনি গর্ব অনুভব করেন। অন্যদিকে এদিনই কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস-এর উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। ছিলেন এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মঞ্চে এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি ও দলের পুরনো প্রবীণ কর্মীদের সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও কালনা, মন্তেশ্বর, মেমারি, আউশগ্রাম, ভাতারসহ সব অঞ্চলেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল।