• facebook
  • twitter
Tuesday, 11 March, 2025

দ্রুতগতির বিরল পাখি উদ্ধার বর্ধমানে

ধৃত পাচারকারীর নাম মোহম্মদ সোনু। বাড়ি বিহারের পাটনার চিড়িয়া মহল্লায়।

উদ্ধার হওয়া বিরল পেরিগ্রিন ফ্যালকন পাখি। নিজস্ব চিত্র।

বিশ্বের দ্রুততম বিরল প্রজাতির শিকারী পাখি পাচার করার সময় বর্ধমান আরপিএফ এর হাতে ধরা পড়লো এক পাচারকারী। উদ্ধার হয়েছে পেরিগ্রিন ফ্যালকন প্রজাতির চারটি পাখি। বন দপ্তরকে খবর দেওয়া হলে বর্ধমান রমনাবাগান থেকে আধিকারিকরা এসে পাখি গুলো সহ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়। ধৃত পাচারকারীর নাম মোহম্মদ সোনু। বাড়ি বিহারের পাটনার চিড়িয়া মহল্লায়।

বন দপ্তরের আধিকারিক কাজল বিশ্বাস জানান, পাখিগুলোর চোখ ছোট কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা ছিলো, যাতে কোন কিছু দেখতে না পায়। সাধারণত চোখে না দেখলে আওয়াজ করেনা পাখিরা। পাখিগুলোর মধ্যে একটি বাচ্চা পাখিও রয়েছে। বাকিগুলো মাঝবয়সী। এদের বন বিভাগে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে। কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রেখে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া ব্যবস্থা করা হবে।

আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের মতো বর্ধমান স্টেশনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে নজরদারি চালানোর সময় ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এক ব্যক্তিকে দু’হাতে দুটি নাইলনের ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে দেখে আরপিএফ কর্মীদের সন্দেহ হয়। ওই ব্যক্তিকে আরপিএফ পোস্টে নিয়ে এসে ব্যাগ তল্লাশি করতেই দুটি ব্যাগের ভিতর দুটি খাঁচায় দুটি করে মোট চারটি পাখি দেখতে পাওয়া যায়। এরপর মোহম্মদ সোনু নামে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরপিএফ অফিসার জানতে পারেন, বিহারের পাটনা থেকে ডাউন রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেসে এদিন সকাল ৫ টা ১০ নাগাদ বর্ধমানে নামে সে। এখান থেকেই অন্য কারুর কাছে এই পাখিগুলোকে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে ধৃত জানিয়েছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে এই পাখি পাচারের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেরিগ্রিন ফ্যালকন একটি বিরল প্রজাতির দ্রুতগতির শিকারী পাখি হিসেবেই পরিচিত। মূলত মরুপ্রদেশে দেখা পাওয়া গেলেও পৃথিবীর অন্যান্য অনেক জায়গাতেই দেখা মেলে এদের। এরা অনেক উঁচু জায়গায় বা গভীর জঙ্গলের উঁচু গাছে থাকে।