আবাসে তালিকায় নাম রাখতে তৃণমূল নেতাকে ৫০০০, চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে জানান, কিছু নীচুতলার কর্মী এবং নীচু তলার সরকারি কর্মী, কিছু পুলিশের লোক টাকা খেয়ে দুর্নীতি করছে আর বদনাম হচ্ছে সমস্ত সরকারের। এর মধ্যেই আবারও সেই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র না দিলে দেবে রাজ্য সরকার এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো কাজও শুরু হয়েছে, সরকারি কর্মী দিয়ে করা হচ্ছে সার্ভে এবং এই আবাস যোজনার তালিকাকে নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে, কোথাও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে, কোথাও বিরোধীদের পক্ষ থেকে।

পুরুলিয়া জেলার মানবাজার-২ নম্বর ব্লকের ডোমজোড় গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন কুম্ভকারের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন ৫০০০ টাকা তাঁকে দিতে হবে না হলে আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ হয়ে যাবে। ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। অর্জুন কুম্ভকারের অভিযোগ, আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর এবং ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে সরকারি আধিকারিকরা এসে সার্ভেও করে গিয়েছেন। কিন্তু ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তৃণমূল নেতা সুবল চন্দ্র ওরফে ধনঞ্জয় কুম্ভকার তাঁকে হুমকির সুরে বলেন, আবাস যোজনার বাড়ি পেতে গেলে তাঁকে দিতে হবে ৫০০০ টাকা আর টাকা না দিলে তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ হয়ে যাবে।

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন অর্জুন কুম্ভকার। এ বিষয়ে মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি নেতা জানান, এই কাটমানির অভিযোগ অতি পুরনো। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অনেকবার উঠতে দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রান্তে অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে কাটমানি না দিলে আবাস যোজনা আর বাড়ি পাওয়া যায় না। এদিকে ধনঞ্জয় কুম্ভকার জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও পদে নেই।


মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জানিয়েছেন, দল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এরকম অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়। কিন্তু এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে বলে মনে হচ্ছে কারণ সরকারি আধিকারিকরা এই সমীক্ষাটি পুরোপুরিভাবে দেখছেন।