দিনহাটা মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। তাঁর গাড়ির পিছনের কাচ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া তাঁকে লক্ষ্য করে ইট, ডিম ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সামাল দেয়। নিরাপদে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-কে। বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান। যদিও তৃণমূলের দাবি, দলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাননি। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে একটি পুরোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলায় দিনহাটা মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিধায়ক আদালত চত্বরে প্রবেশ করতেই তাঁকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। আদালত থেকে বেরোনোর সময়ও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। মামলায় নাম থাকায় বৃহস্পতিবার নিখিলরঞ্জন দে-র পাশাপাশি আদালতে হাজিরা দেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও।
গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিধায়ক আদালতে যাবেন, এই খবর পেয়েই সেখানে জমায়েত করেছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান। ছোঁড়া হয় ইট, ডিম। এমনকী তাঁর গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যদিও বিজেপি বিধায়কের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি জানান, এর সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। বিজেপির প্রতি আমজনতা ক্ষুব্ধ। তাই সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, একটি পুরনো মামলায় হাজিরা দিতে আমি আদালতে গিয়েছিলাম। এটা আইনের কাজ। তৃণমূল কেন বিক্ষোভ দেখাল, বলতে পারব না। তবে আমাদের হেনস্থা করা হয়েছে। আমরা যাঁরা বিজেপি করি, তাঁরা কি আদালতের কাজেও যেতে পারবে না? ওরা হামলা চালাবে? পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। স্বাধীনভাবে মানুষের বাঁচার অধিকার নেই এখানে।