পঞ্চপীঠের জেলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে বীরভূম জেলা। এই জেলার তারাপীঠকে শক্তিপীঠ ও মহাপীঠ হিসেবে দেখা হয়। তারাপীঠের মা তারার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে সাধক বামাক্ষ্যাপার নামও। মা তারার ভক্ত বামাচরণ এখানকার শ্বেত শিমুলতলায় সাধনায় বসে মা তারার সাক্ষাৎ পেয়ে সিদ্ধিলাভ করে সাধক বামাক্ষ্যাপা হিসেবে পরিচিত হন। তারাপীঠে যে মহাশ্মশান রয়েছে সেখানে বসে মা তারার সাধনা করতেন বামাক্ষ্যাপা। তাই এখানকার মহাশ্মশান এলাকায় আজও বসে ধ্যানস্থ হন সাধু-সন্ন্যাসীরা।
এই এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত দ্বারকা নদের পূর্বপাড়ের তারাপীঠের মহাশ্মশান এলাকায় বৈষ্ণবদেরও সমাধিস্থল রয়েছে। বৈষ্ণবদের সেই সমাধিস্থল নষ্ট করে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এখানে নির্মাণ কাজ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে। তাঁরা তারাপীঠে মিছিল করে বৈষ্ণবদের সমাধিস্থল ধ্বংসের প্রতিবাদও করেছেন। যদিও তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ বৈষ্ণবদের সমাধিস্থল ধ্বংসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই কাজ জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর করছে বলে জানা যাচ্ছে। বৈষ্ণবদের সমাধিস্থল রক্ষার দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে এখানে হোম-যজ্ঞও করা হয়েছে।
এবার বিজেপির পক্ষ থেকে রবিবার ৯ মার্চ থেকে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অফিসের সামনে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনদিনের ধরনা ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়েছে। এই কর্মসূচি মঙ্গলবার ১১ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে। এই ধরনা ও অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির জেলা সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত সাহা ও জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রেশমী দে উপস্থিত রয়েছেন। তারাপীঠ–রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ বৈষ্ণবদের সমাধিস্থল রক্ষার দাবি না মানলে, তাঁরা তিনদিনের এই ধরনা ও অবস্থান বিক্ষোভের পরে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকী, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আদালতেও যেতে পারেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।