অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর বর্ধমান রাজাদের তৈরি ঐতিহাসিক দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ঠিক সামনের পুকরটি সংস্কার শুরু হলো। এই পুকুর থেকে ভয়াবহ দূষণ ছড়িয়ে পড়েছিল হেরিটেজ ও পর্যটন এলাকা হিসাবে পরিচিত মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। বর্ধমানের এই এলাকায় ভয়াবহ দূষণ বাড়ছে বলে বাসিন্দারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রাঢ় বাংলার এই মন্দির যে হেতু ভারতের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান সেজন্য এখানে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। কিন্তু পর্যটকদের কাছে এই পুকুরের দূষণ নিয়ে অনেক অভিযোগ শোনা যায়। বছরের পর বছর ধরে এই ভাবেই চলে আসছিল। পুকুর নোংরা আর্বজনায় ভর্তি থাকায় অনেকেই এখানে যাবতীয় ময়লা ফেলে আরও দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। তবে ব্যক্তি মালিকদের অধীনে থাকা এই পুকুর সংস্কারে মন্দির ট্রাস্ট বোর্ড সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।
এই খবর দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকায় দুবার প্রকাশিত হবার পর নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছে যায় বিষয়টি। অবশেষে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, ট্রাস্ট বোর্ডের প্রাক্তন সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ সহ সকলের প্রচেষ্টায় সংস্কার শুরু করা হলো। মালিক পক্ষের অনুমতি মেলার পর পৌরসভার উদ্যোগে এই কাজ চলছে। যাবতীয় খরচ বহন করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে ঐতিহাসিক সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে এই ‘মিদ্যা পুকুর’ ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন থাকায় মন্দির ট্রাস্ট কমিটির সদস্যরা চাইলেও এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারছিলেন না। তবে ইদানিং বর্ধমান পৌরসভার কাছে এই পুকুর সংস্কার ও দূষণ কমানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এলাকার বাসিন্দারা। পৌরসভার চেয়ারম্যান বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত মন্দির সংলগ্ন এলাকায় থাকা এই পুকুরের দূষণ নিয়ে এলাকার মানুষের অভিযোগ অনেক। দীর্ঘ দিন ধরে এই পুকুরের সংস্কার হয়নি।
ফলে ইদানিং পুঁতিগন্ধময় অবস্থা দেখা দেয়। পুকুরের আশপাশের এলাকায় পরিবেশ দূষণ ঘটে যায় অতি দ্রুত। কিছুদিন আগেও পুকুরের জলে এবং আশপাশের এলাকায় শুয়োর চরে বেড়াতে দেখা যেত। বাসিন্দাদের একানাগাড়ে অভিযোগ জানানোর পর শুয়োর চরানো বন্ধ হয়েছে।