সারা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানেও শুরু হল সরকারি উদ্যোগে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা। রাজ্যের শস্যভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমানে এবার অন্যান্য জেলার চাইতে সবচেয়ে বেশি ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু রাইস মিলগুলোতে এবছর চাষিদের কাছে ধান কেনার জন্য বেশ কিছু নিয়মের রদবদল ঘটানো হয়েছে। রাজ্য খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নিয়ম মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ এসেছে চালকল মালিকদের কাছে। বিশেষ করে চাষিরা যাতে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ঠকে না যান, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাইস মিলে ধান দিয়ে যাতে সরকার সঠিক পরিমাণে চাল ফেরত পেতে পারে তাও নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম জারি হলো।
কয়েক দিন আগেই একটি আন্তর্জাতিক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শহর বর্ধমানে আসেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানান, চলতি মরশুমে সরকারের তরফে জেলা গুলো থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। চাষিদের কাছে সহায়ক মূল্যে রাইস মিলের মাধ্যমে কেনা ধান থেকে চাল তৈরি করা হয়। ওই চাল রেশন দোকান, স্কুলের মিড ডে মিলের জন্য বেশিরভাগ টাই সরবরাহ করা হয়। তাই একদিকে যেমন চাষিরা ধান বিক্রি করতে গিয়ে ঠকে না যান সেটা দেখা হবে। একই সঙ্গে রাইস মিল গুলো নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান নিয়ে যাতে নির্দিষ্ট পরিমানে চাল ফেরত দেয় সেটাও এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সূত্রের খবর, গত বছর সহায়ক মূল্যে ধান কিনে তা ভাঙিয়ে চাল তৈরি করে দেয়নি পূর্ব বর্ধমানের একটি রাইস মিল। এছাড়াও বীরভূম জেলার তিনটি ও পুরুলিয়া জেলার একটি রাইস মিলের কাছে চাল পাওনা আছে সরকারের। সেই বকেয়া চালের পরিমাণ ১৪.০৩২ টন। এবার যাতে সহায়ক মূল্যে ধান কিনে চাল তৈরি করে খোলা বাজারে বিক্রি না হয় তার জন্য কড়া নজরদারি থাকছে। আশঙ্কা এবার চালের রপ্তানি শুল্ক উঠে যাওয়ায় ওই প্রবণতা বেশি দেখা দিতে পারে। তাই সরকারের ঘরে মজুত এর যাতে কোন ঘাটতি না হয়, তার জন্য খাদ্য ভবন থেকে জেলার খাদ্য নিয়ামক আধিকারিকের কাছে নির্দেশ এসেছে।