হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে নয়াগ্রাম ব্লকের কেশররেখা রেঞ্জের বালিগেড়িয়া বিটের খুদগড় এলাকায়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বাদল মুর্মু (৩৮)। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ গ্রামের অন্যান্য মানুষদের সঙ্গে হাতি দেখার জন্য জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিলেন।
সেই সময় একটি হাতি তাড়া করলে পিছন ফিরে পালাতে থাকেন তিনি। এরপর হাতিটি তাঁকে শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় মারলে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় মানুষজনেরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সীমানা লাগোয়া খুদগড় এলাকায় ৫৪ থেকে ৫৫টি হাতির দল এদিন ভোরে এসে পৌঁছয়। আগেই বাসিন্দাদের মাইকিং করে সচেতন করা হয়। সন্ধ্যার পর, ভোরে জঙ্গলের পথ দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়। এমনকী জঙ্গলে কাঠ, পাতা সংগ্রহ করতে যেতে মানা করা হয়।
বন দপ্তররের দাবি, মানুষ এই নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই জঙ্গলের পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। হাতি এলাকায় এলে হাতি দেখার জন্য ভিড় জমান মানুষ। যার ফলে হাতি-মানুষের সংঘাত ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। মানুষ যতদিন পর্যন্ত না সচেতন হয়, ততদিন পর্যন্ত হাতি-মানুষের সংঘাত ঠেকানো যাবে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সারা বছর ধরে হাতির হানায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি হাতির আক্রমণে আহত ও নিহতের ঘটনা লেগেই রয়েছে। গত অক্টোবর মাসে নয়াগ্রাম ব্লকে হাতির আক্রমণে দু’জন আহত হয়েছিলেন। এবার হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
খড়গপুর ডিভিশনের ডিএফও মণীশ যাদব বলেন, হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হবে। হাতি এলাকায় এলে জঙ্গলে না যাওয়ার আবেদন করেন তিনি।