• facebook
  • twitter
Wednesday, 20 November, 2024

ট্যাব কাণ্ডে ইসলামপুর থেকে গ্রেপ্তার আরও এক

ট্যাব কাণ্ডে ফের ইসলাম যোগ সামনে এল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে এবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হল।

ট্যাব কাণ্ডে ফের ইসলামপুর যোগ সামনে এল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে এবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হল। ট্যাব-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা ২৫। এদিকে ধৃত যুবকের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। পরিচিত একজনকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। ট্যাব কেলেঙ্কারির বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না।

দিন কয়েক আগেই ট্যাবের টাকা হাতানোর অভিযোগে কোচবিহারের দিনহাটা থেকে মনোজিৎ বর্মন নামে এক প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মালদহের হবিবপুরের একটি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ খোঁজখবর শুরু করতেই দেখা যায়, মনোজিতের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে ট্যাবের টাকা। শনিবার রাতে কোচবিহারের দিনহাটা থানার অন্তর্গত মাদার লেনের বাসিন্দা মনোজিৎকে গ্রেপ্তার করে মালদহ জেলা পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।

এরপর মনোজিৎকে জেরা করা শুরু করে পুলিশ। মনোজিৎকে জেরা করেই সাবির আলমের নাম উঠে আসে। এরপর মালদহের হবিবপুর থানার পুলিশ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা সাবির আলমকে গ্রেপ্তার করে। ট্যাবের বরাদ্দ টাকা সাবির আলমের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল বলে দাবি পুলিশের। মনোজিতের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ১৫-২০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কমপক্ষে ৮ জন পড়ুয়ার টাকা হাতিয়েছে সে। এদিকে ধৃত সাবির আলম জানিয়েছেন, মাটি কাটার টাকা ঢুকবে বলে কমিশনের ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। ট্যাব দুর্নীতির কিছুই জানেন না।

ট্যাব কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছিল, ট্যাব কেলেঙ্কারির টাকা যেসব অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, সেগুলি ভাড়া নেওয়া অ্যাকাউন্ট। ৩০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্টগুলি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ভাড়া করা সেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ২ ঘণ্টার মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হয়। টাকা তোলার আগে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ব্লক বা ফ্রিজ করা হয়েছিল। যে সব কম্পিউটার থেকে জালিয়াতি করা হয়েছে সেগুলির আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় এতদিন শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হত। এবার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও এই প্রকল্পের আওতায় যুক্ত করা হল। স্কুল কর্তৃপক্ষই যোগ্য পড়ুয়াদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের তালিকা তৈরি করে শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। সেই তালিকার ভিত্তিতেই ট্যাবের টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকউন্টে জমা পড়ে।