• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

দুর্ঘটনায় ছাত্রের মৃত্যুর কুড়ি দিন পর খুনের অভিযোগ দায়ের বন্ধুর বিরুদ্ধে

পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে পরিবারের লোক জানতে পারেন যে, তাঁদের ছেলেই গাড়ি চালাচ্ছিল এবং ওই বন্ধু পিছনে বসেছিল।

নিহত ছাত্র শেখ আজিয়ার ইসলাম। ফাইল চিত্র

বাইক দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুর প্রায় ২০ দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করে থানায় অভিযোগ জানালো পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সুলতানপুর এলাকায়। গত ২ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার নিমু মালপাড়া এলাকায় জিটি রোডে এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় মেমারি সুলতানপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শেখ আজিয়ার ইসলাম। দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা আরও এক যুবক শেখ আরিয়ান সামান্য আহত হয়। আকস্মিক এই মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন আত্মীয়স্বজন থেকে প্রতিবেশীরা। শোকে পাথর হয়ে পড়েন মৃত যুবকের মা।

সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গেছে, প্রচন্ড দ্রুতগতিতে বাইক চালিয়ে যাবার সময় মেমারির নিমো এলাকায় স্পিড ব্রেকারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে ওই দুই যুবক। এরপর একজন সুস্থ থাকলেও অপরজন প্রাণ হারায়। ওই মৃত ছাত্রের পরিবার অভিযোগ করছে, এটা স্বাভাবিক কোনও দুর্ঘটনা নয়। কারণ তাঁরা জানাচ্ছেন, সেদিন তাদের ছেলে বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। বিকাল বেলায় তারই বন্ধু তাকে ফোন করে ডাকে। জিমে যাবার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ছেলে। এরপর ফোনের মাধ্যমে তারা জানতে পারে তাদের ছেলে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে পরিবারের লোক জানতে পারেন যে, তাঁদের ছেলেই গাড়ি চালাচ্ছিল এবং ওই বন্ধু পিছনে বসেছিল। কিন্তু ঘটনার কিছুদিন পর প্রকাশ্যে আসে তাঁদের ছেলে বাইকের পিছনে বসেছিল। যে ছেলেটি আহত হয়েছে সেই গাড়ি চালাচ্ছিল। এরপর মৃত ওই ছাত্রের পরিবার পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন বিষয়টি নিয়ে পুনরায় তদন্তের জন্য। মৃতের বাবা অভিযোগ করেছেন, এর আগে একাধিকবার তাঁর ছেলেকে ওর বন্ধু শেখ আরিয়ান বিভিন্ন ধরনের ঝামেলায় জড়ানোর চেষ্টা করেছে। ফোন করে ও ফোনে মেসেজ করে নানান ধরনের উত্তেজক কথা বলতো ওই ছেলেটি। িতনি জানান, ‘আমাদের অনুমান, ওই ছেলেটিই পরিকল্পনা করে আমার ছেলেকে খুন করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’

মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, গত ১৬ নভেম্বর আহত যুবকের বাড়ি থেকে মা, ঠাকুমা এবং আরও এক মহিলা তাঁদের বাড়িতে এসে তদন্ত না করানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। এরপরই মৃত ছাত্রের পরিবার থানায় পুনরায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায়। মৃত যুবকের মা কুলসুমা বিবি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে আসল সত্য উদঘাটন করুক।