বছরখানেক আগে মারা গিয়েছে প্রথম স্বামী। নিঃসঙ্গতা কাটাতে আবারও বিয়ে সেরেছিল মহিলা। তবে সম্পর্কের মাঝে অশান্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৬ বছরের এক রত্তির ছেলে। সোমবার গভীর রাতে ছেলে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল মা এবং সৎ বাবার বিরুদ্ধে।
সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার উত্তর হলদিয়া গ্রামের খয়রান্ডা এলাকায়। অভিযুক্ত মা মামণি গিরি এবং সৎ বাবা শুকদেব মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই নিজের হেফাজতে নিয়েছে রামনগর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মামণির প্রথম পক্ষের স্বামী বছরখানেক গত হন। তারপর ছোট ছেলেকে নিয়েই থাকতো সেই। পরে নতুন করে বৈবাহিক সম্পর্কের শুকদেবের সঙ্গে আবদ্ধ হয় মামণি। অভিযোগ, তারপর থেকেই দুজনের মধ্যে ছেলেকে নিয়ে অশান্তি বাঁধত। শেষ পর্যন্ত একরত্তির ছেলেকে প্রাণে মারার সিদ্ধান্ত নেয় দুজনে। সেই মতো সোমবার গভীর রাতে ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে মুখে কাপড় গুঁজে বেধড়ক মারধর করে সৎ বাবা এবং মা। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুজনে মিলে ছেলেকে ফেলে আসে ফাঁকা মাঠে। প্রবল শীতে সারারাত সেই মাঠে পড়ে থাকার পর মঙ্গলবার সকালে কোনক্রমে প্রতিবেশীর এক বাড়িতে যায় শিশুটি। তার অবস্থা দেখে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা।
তারপর পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন সে। অন্যদিকে মারধরের কথা কোনও ক্রমে পুলিশকে জানায় শিশুটি। তারপর গ্রেপ্তার করা হয় মা এবং সৎ বাবাকে।