ভারত-ভূটান সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার ৭ বছরের নাবালিকার দগ্ধ দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পরে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ এলাকায়। মঙ্গলবার একটি পরিত্যক্ত জমির ঝোপের মধ্যে থেকে নাবালিকার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, যেদিন নাবালিকা নিখোঁজ হয়, সেদিন এলাকার এক যুবক তাঁকে চাউমিন খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই নাবালিকা ঘরে ফেরেনি। এমনকি সেই যুবককেও আর এলাকায় দেখা যায়নি। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবরও নেওয়া হয়। অবশেষে ঘটনার ৮ দিনের মাথায় উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। ইতিমধ্যেই যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করছেন।
এ বিষয়ে নাবালিকার এক আত্মীয়ের দাবি, অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার বাবার বন্ধু। তাই তার সঙ্গে চাউমিন খেতে যাওয়ায় কেউই সেদিন সন্দেহ করেনি। সেদিন ওই যুবক নাবালিকার বাড়িতে আসে। নাবালিকা তার কাছে মোমো আর চাউমিন খাওয়ার আবদার করে। তখন তাকে চাউমিন খাওয়াতে নিয়ে যায় ওই যুবক। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় নাবালিকা এবং সেই যুবকও।
আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত এখনও অধরা। অভিযুক্তের সন্ধান চলছে।