সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডোমজুড়ের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আটক করা হয়েছে এক নাবালককে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই খোঁজ মিলছিল না ডোমজুড়ের সলপের দাসপাড়ার বাসিন্দা ৪ বছরের খুদে শেখ আয়ুষের। পরিবার এবং স্থানীয় লোকেরা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিল। দুপুর নাগাদ বাড়ির থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশী রবিউল হাজি প্রথম বাড়ির অদূরে ঝোঁপের মধ্যে শিশুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিল। এরপর পরিবার এবং ডোমজুড় থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। শিশুটির দেহে ছিল একাধিক ক্ষত। পিঠে ছিল পোড়া দাগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরনের জামা দিয়েই পেঁচানো ছিল শিশুর গলা। বাড়ির কাছেই দেহ পাওয়া যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, ঘটনায় পরিবারের কেউ যুক্ত থাকতে পারে। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে, ছোটো আয়ুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আর তার পিছু পিছু যাচ্ছে আরও একটি নাবালক। এরপরই ওই ১৪ বছর বয়সী নাবালককে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই নাবালক সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে নেয়।
তার কথার উপর ভিত্তি করে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নাবালকটি এই এলাকায় মামাবাড়িতে দর্জির কাজ শিখতে এসেছিল। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ সে শিশুটির সঙ্গে খেলা করছিল। খেলার বল নিয়ে শিশুটির সঙ্গে তার বিবাদ বাঁধে। সেই রাগ থেকেই প্রথমে খাঁচা দিয়ে শিশুটিকে আঘাত করা হয়। তারপর তার গায়ের জামা খুলে গলায় পেঁচিয়ে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, খেলার বল নিয়ে বিবাদের জেরেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শিশুকে। অভিযুক্ত নাবালককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হবে।