৫ লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করল মঙ্গলকোট পুলিশ

প্রতীকী ছবি

অপরাধ দমনে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশের সাফল্য অব্যাহত। অভিযোগ দায়েরর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই চুরি যাওয়া মোটা অঙ্কের অর্থ উদ্ধারের পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলো মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। চুরির ঘটনায় ধৃত হুগলির পান্ডুয়ার বাসিন্দা মনোজ দাস ও বিকাশ দাসকে শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয়। পুলিশের তরফে ধৃতদের ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়।

এলাকা সূত্রে প্রকাশ, -‘গত বুধবার দুপুরে আউশগ্রামের উক্তার বাসিন্দা আব্দুল আলিম সেখ গুসকরার এক ব্যাঙ্ক থেকে ৬ লক্ষ টাকা তুলে মঙ্গলকোটের রঘুনাথপুরের এক ব্যক্তিকে ৩৫ হাজার টাকা দিতে যান। মোটরসাইকেলের টুল বাক্সে সাড়ে ৫ লাখের টাকা রেখে ওই টাকা দিতে যান আলিম। সেসময়ই সাড়ে ৫ লাখ টাকা চুরি হয়’। এরপর বুধবার রাতেই মঙ্গলকোট থানায় টাকা চুরির অভিযোগ করেন আব্দুল আলিম সেখ।

অভিযোগপত্র পেয়েই মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সামনে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে চুরির ঘটনাস্থল অর্থাৎ মঙ্গলকোটের রঘুনাথপুর অবধি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলির সিসিটিভি ফুটেজ গভীররাত অবধি পর্যবেক্ষণ করেন আইসি। খুব দ্রুত ২ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। ওই রাতেই চোরেদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেল রহস্য উদঘাটনে সুত্র এনে দেয় অনেকখানি।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘ওই দুই চোর হুগলির পান্ডুয়ার দাগি আসামি হিসাবে কুখ্যাত’। মঙ্গলকোটের আইসি মধুসূদন ঘোষ দীর্ঘদিন হুগলি জেলা পুলিশে বিভিন্ন থানায় ওসি থাকায় নিজস্ব নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে চোরেদের গতিবিধি অত্যন্ত দ্রুততায় জেনে ফেলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূমের তারাপীঠ থেকে বিকাশ দাস ও মনোজ দাসকে (সম্পর্কে দুই ভাই) নগদ ৪ লক্ষ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, ৩টি মোবাইল ফোন, ৩টি ভুয়ো নাম্বার প্লেট সহ গ্রেপ্তার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে ধৃতদের পেশ করা হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজত হয়েছে বলে জানা গেছে।