• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

দ্বিগুণেরও বেশি টাকায় কালনা ফেরিঘাটের ইজারা

ইজারার টাকা বাড়লেও পারাপারের জন্য ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে বলে পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হল

দীর্ঘদিন দিন ধরে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ভাগিরথী নদীতে ফেরিঘাটের ইজারা নিয়ে নানা সমস্যা চলছিল। অবশেষে নতুন পৌরবোর্ডের হাত ধরে দ্বিগুণের বেশি টাকায় কালনা ফেরিঘাট ইজারা দেওয়া হলো। তিন বছরের জন্য ইজারা পেলেন বুদ্ধি পাল নামে এক ব্যক্তি। বছরে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় টেন্ডার নিয়েছেন তিনি। ইজারার টাকা বাড়লেও পারাপারের জন্য ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে বলে পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হলো।

কালনা পৌরসভার একদিক দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী। নদীর ওপারে রয়েছে নদীয়া জেলার শান্তিপুর। শান্তিপুর যাওয়ার জন্য নদীপথে রয়েছে কালনা ফেরিঘাট। একসময় ভুটভুটিতে যাত্রী ও লোহার ভেসেলে ভারী যানবাহন পারাপার হলেও বর্তমান সরকার আসার পর জেটিঘাটের মধ্যে দিয়ে লঞ্চে যাত্রী পারাপার শুরু হয়। গত পৌরবোর্ডের আমলে ফেরিঘাট ইজারা ছিল বছরে ৫৪ লক্ষ টাকা। বর্তমান পুরবোর্ড ক্ষমতায় এসেই বুঝতে পারে ফেরিঘাট আরও অনেক বেশি টাকায় ইজারা হওয়া উচিত। এরপর স্বচ্ছতার সঙ্গে ইজারার ব্যবস্থা করতে ই-টেন্ডারের আহ্বান করে পৌরসভা।  কিন্তু বারবার নানা জটিলতা, অকশনে অংশ নিয়েও ইজারা না নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে থাকে। প্রায় ২০ দিন আগে কালনা পুরসভা বিজ্ঞাপন দিয়ে ফের ই-টেন্ডারের অকশন নোটিস জারি করে।

এদিন ছিল টেন্ডার অকশনের চূড়ান্ত দিন। বেলা ১০ টা থেকে অনলাইনে টেন্ডারের প্রক্রিয়া চালু হয়। ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা এক ব্যক্তি দরপত্র দেন। বেশ কিছুক্ষণ থমকে থাকার পর ১ কোটি ২০ লক্ষ ও পরবর্তীতে বুদ্ধি পাল নামে ওই ব্যক্তি বার্ষিক ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় টেন্ডার পান। কালনা পৌরসভার পূর্ত দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলার সন্দীপ বসু বলেন, আমরা বোর্ডে আসার পরই বুঝতে পারি ফেরিঘাটে পূর্ববর্তী ৫৪ লক্ষ টাকার দরপত্র থেকে বছরে অনেক বেশি টাকার ইজারা হওয়া উচিত। তাই সকলের সিদ্ধান্ত মতো পুরবোর্ড স্বচ্ছতার সঙ্গে ইজারায় বদ্ধপরিকর ছিল। এই টাকা পুরসভার উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।