রাজ্য সরকার হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেও বুধবার সন্ধ্যেয় খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল সাক্ষী থাকলো দুষ্কৃতী তাণ্ডবের। এদিন সন্ধ্যে ছটা নাগাদ খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীকে দেখতে যান ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারবেটিয়া বয়েজ ক্লাবের দুই সদস্য গণেশ খিলাড়ি ও জীবন বিশ্বাস। রোগী দেখে বেরিয়ে আসার পর গাড়িতে উঠতেই তাঁদের ঘিরে ধরে এলাকার পরিচিত দুষ্কৃতী দাদ্দু সোনকার ও তার দলবল। তারা জীবন বিশ্বাসের গলার সোনার হার ছিনতাই করে।
গণেশ বাধা দিতে গেলে বোল্ডার দিয়ে তাঁর মাথায়, হাতে, পিঠে আঘাত করা হয়। গণেশের মাথা ফেটে যায়। গণেশ ও জীবন খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জীবন বিশ্বাস ২৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে বলেন, হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা কোনমতেই বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করব যাতে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সৌম্য শংকর সারঙ্গী বলেন, ‘ঘটনার খবর আমি জেনেছি। খড়্গপুরের এসডিও এবং এসডিপিও কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি। গণেশ খিলাড়ি বলেন, দুর্গাপূজার দশমীর দিন আমাদের সঙ্গে দাদ্দুর ঝামেলা হয়েছিল। তখনই ও দেখে নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এইভাবে মারধর, ছিনতাই করবে কোনোদিন ভাবিনি।’