এ বাংলা-সহ সারা দেশজুড়ে মানুষ যখন দুর্গাপুজোর আনন্দে মুখর থাকেন তখন, বীরভূমের তারাপীঠের মানুষকে অপেক্ষা করতে হয় কার্তিক মাসে দেব সেনাপতি কার্তিক পুজোর জন্য। তারাপীঠে মা তারা আরাধ্যা দেবী। এখানে কোনও মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে দেবী পুজোর চল নেই। কেন না, মা তারার অঙ্গেই দুর্গা, কালী, সরস্বতী, জগদ্ধাত্রী, লক্ষ্মী, অন্নপূর্ণা-সহ সমস্ত দেবীর আরাধনা করা হয়।
আবার কার্তিক সংক্রান্তিতে কার্তিক পুজো হলেও, তারাপীঠে তার ব্যতিক্রম রয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসে নবান্ন উপলক্ষ্যে দেবী অন্নপূর্ণার বদলে কার্তিক পুজো করেন তারাপীঠের মানুষ। এই সময় তারাপীঠের যে সমস্ত মেয়েদের অন্যত্র বিয়ে হয়, তাঁরা যেমন মায়ের ঘরে আসেন তেমনি, যাঁরা বিভিন্ন সূত্রে বাইরে থাকেন, তাঁরাও ফিরে আসেন তারাপীঠে। যার ফলে, কার্তিক পুজোর এই ক’টা দিন গমগম করে ঘরের মানুষদের ভীড়ে।
তারাপীঠে কোনও দেবীর পুজো না হওয়ার খেদ পুষিয়ে নিতে এখানে দেব সেনাপতি কার্তিক পুজোর প্রচলন করা হয়। কার্তিক পুজোর মণ্ডপে স্থান হয় মহাদেব শিবের। শনিবার ২৩ নভেম্বর রাত থেকে তারাপীঠে শুরু হয়েছে অসময়ের চারদিনের দেব সেনপতি কার্তিকের পুজো। যে পুজোকে উৎসবের রূপ দিতে বিচিত্রানুষ্ঠান, যাত্রাপাল-সবেরই যেমন আয়োজন করা হয়েছে তেমনি, চারদিন ধরে এখানে সমবেত পংক্তিভোজেরও ব্যবস্থা রয়েছে।