কল্যাণীতে ধুমধাম করে কালী পুজো, মণ্ডপে মণ্ডপে থিমের ছড়াছড়ি

চারিদিক সেজে উঠেছে আলোতে। বাড়ি বাড়ি আলোকিত রংবেরংয়ের টুনি লাইটে। কল্যাণীতে হাতেগোনা কালী পুজো হলেও পুজোর দিন উপচে পড়ে ভিড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলে নানান অনুষ্ঠান।

১৮ পল্লী ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন। কল্যাণী ফার্ম মোড়। ৪৩-তম বর্ষে পদার্পণ করল এবারের কালী পুজো। এই পুজো ‘বাকুলা’র কালী পুজো হিসেবে বেশি পরিচিত। এলাকার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং দাপুটে নেতা সোমনাথ বেহারা। তাঁকে সবাই বাকুলা নামেই চেনেন বা ডাকেন। সামলেছেন কাউন্সিলরের পদও। একটা সময় বেশ জাঁকজমক করে কিছু সঙ্গী সাথী নিয়ে করতেন এই পুজো।

বয়স বাড়ছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোমনাথ বেহারার অনুগামীরা এখন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন পুজোর দায়িত্ব। তবু এখনও ১৮ পল্লী ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের পুজোকে মানুষ ‘বাকুলা’র পুজো হিসেবেই চেনেন। ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়।


এবার তাদের থিম থাইল্যান্ডের বুদ্ধ মন্দির। প্যান্ডেল হয়েছে প্লাইয়ের। তার উপর করা হয়েছে রং। রয়েছে ফাইবারের কাজ। পুজোকে কেন্দ্র করে বসেছে বিশাল মেলা। প্রতিদিন রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পুজোর সভাপতি হলেন রুদ্রবীর রায়, সহ সভাপতি মৈনাক চক্রবর্তী, কার্যকরী সভাপতি গৌতম রায়। প্রধান পৃষ্ঠপোষক সোমনাথ বেহারা।

অন্যদিকে, কল্যাণীর সগুনাতেও ধুমধাম করে হচ্ছে কালী পুজো। সগুনা ২ নম্বর লিচুতলা বারোয়ারী পুজো কমিটির এবারের থিম তান্ত্রিক। ৭২ তম বর্ষ। পাটকাঠি, পাতা, দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। রয়েছে নানান আলোর কারসাজি। প্রতিমাতেও রয়েছে থিমের ছোঁয়া। এই পুজোকে কেন্দ্র করেও বসেছে বিশাল মেলা। প্রতিদিন রয়েছে টলিউডের নামকরা শিল্পীদের অনুষ্ঠান। রাস্তা জুড়ে রয়েছে আলোর কারসাজি। এই মণ্ডপ দেখতে দুর দূরান্ত থেকে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।