প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১৮ বার কোপ মেরে দাদাকে খুন করেছিলেন ভাই। সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত নিহতের তুতোভাই সুরেশ রায়কে ফাঁসির সাজা শোনাল জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। দোষীর ফাঁসির সাজা ঘোষিত হওয়ায় খুশি নিহতের পরিবারের সদস্যরা। আর দোষীর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘কিছু বলার নেই’। যদিও সুরেশের আইনজীবী এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করার ভাবনাচিন্তা করছেন।
নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন শঙ্কর দাস। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁর পিসতুতো ভাই সুরেশ রায় ওই এলাকাতেই থাকতেন। সুরেশের স্বভাবচরিত্র খুন একটা ভালো ছিল না। এই নিয়ে প্রায়শই দু’জনের মধ্যে বচসা-অশান্তি হত। ঘটনার দিন মহিলাদের কটূক্তি করেন সুরেশ রায়। তাঁর আপত্তিকর আচরণের প্রতিবাদ করেন শঙ্কর দাস। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা হয়।
এরপরই দাদা শঙ্কর দাসকে খুনের পরিকল্পনা করেন তাঁর পিসতুতো ভাই সুরেশ রায়। শঙ্কর চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। তাঁর উপর যে অতর্কিতে হামলা চালানো হবে, তা বিন্দুমাত্র টের পাননি শঙ্কর। আচমকা সেখানে হাজির হন সুরেশ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে দাদাকে ১৮ বার কোপ মারেন তিনি। এই আক্রমণের ফলে শঙ্করের কিডনি, লিভার ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এই নিয়ে এলাকাতেও শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। দোষীর শাস্তি চেয়ে মিছিলও বের করা হয়।
এরপর সুরেশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১২ জনের সাক্ষ্য ও একাধিক প্রমাণের ভিত্তিতে নৃশংস খুনের ঘটনায় দোষী সুরেশের ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্ট। আদালতের এই রায়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে সুরেশের আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন বলে জানা গিয়েছে।