• facebook
  • twitter
Monday, 14 April, 2025

মশার উপদ্রব কমাতে উদ্যোগ পুরসদস্যর

সেপটিক ট্যাঙ্কের চারিদিকে কেরোসিন এবং পোড়া মোবিলের মিশ্রণ দিয়ে গ্যাস পাইপের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে ওই মশা আর বাইরে বেরোতেই না পারে।

প্রতীকী ছবি।

চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রেখেও কমানো যাচ্ছে না মশার উপদ্রব। কারণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক-ই মশার আস্তানা। এবার এই মশার উপদ্রব কমিয়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন বারাসত পুরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা ডাঃ সুমিত কুমার সাহা। রবিবার সকাল থেকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পৌরপিতা তাঁর নিজস্ব ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লীর প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের গ্যাসপাইপের মুখে বেঁধে দিলেন জালিকা দিয়ে। পাশাপাশি সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে এবং বাইরে ছড়িয়ে দিলেন বিশেষ রাসায়নিক, যা প্রস্তুত হয়েছে কেরোসিন এবং পোড়া মোবিলের মিশ্রণে। মশা নিধনে পুরসভা থেকে প্রত্যেক ওয়ার্ডে দেওয়া হয় বিশেষ তেল। চিকিৎসক পৌরপিতা জানিয়েছেন, সেই তেলের ব্যবহার করেননি তিনি। বরং কেরোসিন এবং পোড়া মোবিলের মিশ্রণে নিজেই বানিয়ে নিয়েছেন মশা নিধনের রাসায়নিক।

এ প্রসঙ্গে পৌরপিতা বলেন, ‘মশার তেল সাধারণত দেওয়া হয় নর্দমা, পুরসভার বিভিন্ন জায়গা এবং জমা জলের উপর। ব্যক্তিগত কারো জমিতে প্রবেশ করে মশা নিধনের কাজ করা হয় না পুরসভার তরফ থেকে। তবে আমরা দেখেছি, মশার আতুঁর ঘর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক, কারণ এই জায়গা পরিষ্কার করা হয় না। সেপটিক ট্যাঙ্কে তিনটি পৃথক কোষ্ঠ থাকে, যার মধ্যে একটিতে থাকে কেবল জল। এই স্থির জলেই মশা ডিম পাড়ে। পরবর্তীতে মশার লার্ভা বড়ো হয়ে গ্যাস পাইপ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই সেপটিক ট্যাঙ্কের চারিদিকে কেরোসিন এবং পোড়া মোবিলের মিশ্রণ দিয়ে গ্যাস পাইপের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে ওই মশা আর বাইরে বেরোতেই না পারে।’