মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অগ্রাহ্য, বিজয়া সম্মিলনী করতে উদ্যোগী নয় খড়গপুর পৌরসভা

শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে পৌরসভাভিত্তিক বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজয়া দশমীর পর ১২ দিন কেটে গেলেও খড়গপুর শহরে পৌরসভার উদ্যোগে কোনও বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়নি।

বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনে এই অনীহা কেন? এ প্রসঙ্গে খড়গপুরের পৌরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, ২৪ তারিখ ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের কোনও পরিকল্পনা নেই। ভাই ফোঁটার পর সবাইকে একসঙ্গে পেলে তখনই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে।
পৌরপ্রধান এ কথা বললেও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভাপতি রূপেশ বসুর উদ্যোগে খড়গপুরের একমাত্র ওয়ার্ড ভিত্তিক বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজয়া সম্মিলনী সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের একটা বড় মাধ্যম। আরজি কর কাণ্ডে যখন রাজ্যজুড়ে বিশেষত শহরাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা কোণঠাসা, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মানুষের মনের কাছাকাছি পৌঁছতেই তৃণমূল সুপ্রিমো দলীয় কর্মীদের এই হাতিয়ার ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরজি করের প্রতিবাদে খড়গপুর শহরজুড়ে বহু কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরের একমাত্র বিধানসভা আসনটিও বিজেপির দখলে। তাই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করাটা বেশি জরুরি ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, খড়গপুরে তৃণমূল নেতৃত্ব সেই পথ অবলম্বন করতে একেবারেই উৎসাহী নয়। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপূর্ব ঘোষ জানান, আগামী ২৭ অক্টোবর  আবহাওয়া অনুকূল থাকলে তাঁরা বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করবেন।