আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু – সর্বত্রই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন হাজার মানুষ মানুষ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, আউনজীবী, ছাত্রছাত্রী সকলেই ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। আর এই মিছিল ঘিরেই তৈরি হল বিতর্ক।
নারকীয় এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করার জন্য হাওড়ার তিন স্কুলকে শো-কজ করা হল। হাওড়ার বালুহাটি হাইস্কুল, বালুহাটি গার্লস হাইস্কুল এবং ব্যাঁটরা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার স্কুল চলাকালীন এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা পথে নেমেছিলেন বলে অভিযোগ।
জেলা স্কুল পরিদর্শকের পাঠানো ওই নোটিশে তিনটি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন গত শুক্রবার স্কুলের সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা মিছিলে শামিল হয়েছিলেন? নোটিশে আরও বলা হয়েছে, এই ধরণের কর্মসূচি পড়ুয়াদের জন্য ঠিক নয় এবং এতে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ ব্যাখ্যার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
স্কুলগুলির তরফে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, স্কুল চলাকালীন কোনও মিছিল করা হয়নি। স্কুল শেষের পর মিছিল করা হয়েছে। ওই মিছিলে স্কুলের প্রাক্তনীরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
বালুহাটি গার্লস হাইস্কুলের টিচার-ইন-চার্জ অঞ্জন সাহা বলেন, শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেননি। স্কুল ছুটির পর পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিল। স্কুলে ওই দিন পঠনপাঠন হয়। কেন শোকজ করা হল তা বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় বিরোধীদের দাবি, শোকজ নোটিস পাঠিয়ে প্রতিবাদের কন্ঠরোধ করতে চাইছে শাসকদল। বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন, এই ঘটনা স্বৈরাচারীর আস্ফালন। জেলাশাসকের দফতরের বক্তব্য, শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনও কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া যাবে না।