দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি। আর বাড়ির ঠিক পাশেই জলাশয়ের ধারের একটি গাছে ঝুলছে গৃহকর্তার দেহ। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য হাওড়া জেলার লিলুয়ায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের নাম অরুণ রায়। তিনি লিলুয়া থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়ায় এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অরুণবাবুর স্ত্রী ও সন্তান ঠাকুরনগরে গিয়েছেন। সেই কারণে বাড়িতে একাই ছিলেন অরুণবাবু। গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ধোঁয়া দেখে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। দু’টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অবশ্য ততক্ষণে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়িটি। এরপর অরুণবাবুর খোঁজ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, জলাশয়ের ধারের একটি গাছ থেকে ঝুলছে অরুণবাবুর দেহ। অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
অরুণবাবু নিজেই আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন? না কি তাঁকে খুন করে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে? সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জগদীশপুর ফাঁড়ির পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।