• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

সুখবর! মঙ্গলবার থেকে খুলছে হাওড়ার লাডলো জুট মিল

দীপাবলি মিটতেই সুখবর। মঙ্গলবার থেকে খুলছে হাওড়ার লাডলো জুট মিল। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল এই মিল। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর হামলার পর মালিকপক্ষ মিল বন্ধ করে দেয়।

দীপাবলি মিটতেই সুখবর! মঙ্গলবার থেকে খুলছে হাওড়ার লাডলো জুট মিল। চলতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল এই মিল। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর হামলার পর মালিকপক্ষ মিল বন্ধ করে দেয়। রাতারাতি কাজ হারান প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক। অবশ্য পুজোর বোনাস থেকে বঞ্চিত হননি শ্রমিকরা।

স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে মুখে হাসি ফোটে হাজার হাজার শ্রমিকের। পুজোর মধ্যেই শ্রমিকদের বোনাস এবং মজুরি দিয়ে দেওয়া হয়। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, আইএনটিটিউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মিল খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হন।

১ নভেম্বর এবং ২ নভেম্বর শ্রম দপ্তরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজিত হয়। সেই বৈঠকের পরই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে। রাজ্যের শ্রম, আইন ও বিচার বিভাগের মন্ত্রী মলয় ঘটক, পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক ও প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু, আইএনটিটিইউসির সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক এবং জুট শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা সোমনাথ শ্যাম ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিলের মালিকপক্ষ এবং ৮টি ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব।

শ্রম দপ্তরের তরফে বৈঠকে যোগ দেন স্পেশাল লেবার কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত, হাওড়া ও কলকাতার ডেপুটি লেবার কমিশনার। মিল খোলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইল অঞ্চলের শ্রমিকেরা ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

রাজ্যের শ্রম, আইন ও বিচার বিভাগের মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, লাডলো জুট মিল খুলবে ৫ নভেম্বর। কয়েকদিন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। ১১ নভেম্বর থেকে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হবে। সূত্রের খবর, সরকারের তরফে মিল কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, অবিলম্বে মিল চালু করা হোক, তারপর দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করা যাবে। এরপরই তড়িঘড়ি মিল খোলার কথা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

১০০ বছরেরও পুরনো লাডলো জুটমিল আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের লাডলো কোম্পানির। প্রায় ১২ লক্ষ বর্গফুট জায়গা নিয়ে মিলটি গড়ে ওঠে। ১৯২১ সালে মিলটি চালু হয়। ১৯৭৭ সালে কানোরিয়া পরিবার এই জুটমিলটিকে অধিগ্রহণ করে। ১৪০০টি পরিবার এই জুটমিলে কাজ করেন। মোট শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। মিল চত্বরেই থাকেন তাঁরা।