• facebook
  • twitter
Monday, 21 October, 2024

বিজেপির পার্টি অফিসে গিয়ে পুজো তৃণমূল কর্মীর, তরজা তুঙ্গে

রামের দুর্গা পূজায় পুরোহিত ছিলেন রাবণ। তৃণমূল প্রার্থীকে বধ করতে দলীয় কার্যালয়ে পুজো দিচ্ছে বিজেপি। সেই পুজোয় পুরোহিত আর এক তৃণমূল কর্মী।

লঙ্কা জয় করতে অকালে দুর্গার বোধন করেছিলেন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র। আর রামের দুর্গা পূজায় পুরোহিতও ছিলেন রাবণ। আসন্ন উপনির্বাচনে বঙ্গ রাজনীতিতে যেন তারই প্রতিচ্ছবি। তৃণমূল প্রার্থীকে বধ করতে দলীয় কার্যালয়ে পুজো দিচ্ছে বিজেপি। সেই পুজোয় পুরোহিত আর এক তৃণমূল কর্মী।

জানা গিয়েছে, সোমবার মেদিনীপুরে বিজেপির পার্টি অফিসে পৌরোহিত্য করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী অনিন্দ্য চক্রবর্তী। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়ের নামে সংকল্প করে তাঁর মঙ্গলকামনা চাইলেন তিনি। আর এই নিয়েই বঙ্গ রাজনীতিতে তরজা তুঙ্গে। গত পুরসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন অনিন্দ্য চক্রবর্তী। সোমবার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে উদ্বোধনীতে পুজো করেছেন অনিন্দ্য। যদিও এই বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগাতে নারাজ দুপক্ষ–ই।

এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ জানিয়েছেন, ‘বিধানসভা উপনির্বাচনের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলি সম্পন্ন করার জন্য একটি কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে অনিন্দ্যবাবু শুধু পুজো করতে এসেছেন, কারণ এটাই তাঁর পেশা। এবারের উপনির্বাচন অনেক তৃণমূল কর্মী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং বলছেন, তাঁরাই আমাদের হয়ে ভোট পরিচালনা করবেন। তৃণমূলের অনেক কর্মীই এখন আমাদের সমর্থনে রয়েছেন’।

অন্যদিকে, পুরসভা নির্বাচনে পরাজিত তৃণমুল প্রার্থী বিশ্বজিত মুখার্জির বক্তব্য, রাজনীতির সঙ্গে পেশার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ মানুষ যখন কোনও রেস্টুরেন্টে খেতে যায় তখন কেউ খাবারের রং দেখে খাবার খান না। তাই এই সামান্য বিষয়কে রাজনৈতিক রং লাগানোর কোনও মানে হয় না।

বিজেপি অফিসে পুজো করার বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে, এমনটা শুনে পুরোহিত অনিন্দ্য চক্রবর্তী জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। আমি তাঁর দলের সঙ্গে কাজ করি। তবে বিজেপি অফিসে পুজোর জন্য আমন্ত্রণ পাওয়ায়, আমি সেখানে গিয়েছিলাম এবং শুভজিৎ রায়ের মঙ্গল কামনা করে পুজো করেছি। প্রার্থীর সফলতার জন্য আমি সংকল্প করেছি এবং পুরোহিত হিসেবে তাঁর জয়ের জন্য হিত কামনা করেছি’।

পুরোহিত অনিন্দ্য চক্রবর্তী এই ঘটনায় কোনও অন্যায় দেখছেন না। কিন্তু ভোটের আগে তাঁর এই পদক্ষেপ মেদিনীপুর শহরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।