• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

ঘাটালে ধুন্ধুমার, দেবের সামনেই গোষ্ঠীকোন্দল

অভিযোগ, শংকর দলুইয়ের অনুগামীরা দেবের অনুগামীদের উপর হটাতই আক্রমণ করেন। বাঁশ, লাঠি নিয়ে শুরু হয় মারপিট। সাংসদের সামনেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, বাঁশ দিয়ে পেটানো চলতে থাকে।

ঘাটালে অভিনেতা দেব।

শিশুমেলার রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়ে চরমে ঘাটালে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তারকা সাংসদ দেবের সামনেই প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুইয়ের সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন তাঁর অনুগামীরা। এর জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রক্তাক্ত হন কমপক্ষে ১৫ জন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ। তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবস্থা এমন পর্যায় পৌঁছয় যে মিটিং না করেই মাঠ ছাড়েন দেব।

প্রতিবছরই ঘাটালে শিশুমেলার আয়োজন করা হয়। এবার সেই মেলা পা দিল ৩৭ তম বর্ষে । জানা গিয়েছে, গত বছর মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুই। ঘাটালের সাংসদ দেবের অনুগামীরা চেয়েছিলেন এবার মেলার রাশ থাকুক দেবের হাতে। কিন্তু ঘটনাচক্রে গত ২০ নভেম্বর মেলা কমিটি তৈরির জন্য মিটিং ডাকেন শংকর দলুই। কিন্তু দেব সেই বৈঠকে যোগ দেননি। তা সত্ত্বেও ফের নিজেকে সম্পাদক পদে রেখে কমিটি গঠন করেন শংকর। যা মোটেই ভালোভাবে নেননি দেব। পরবর্তী নতুন কমিটি গঠনের জন্য আজ অর্থাৎ ২৪ তারিখ আবার মিটিং ডাকেন দেব। এদিকে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝে ময়দানে নামেন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। রবিবার ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে মেলার কমিটি গঠন নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে হাজির হন সাংসদ দেব। তাঁর উপস্থিতিতে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি পরিণত হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে।

অভিযোগ, শংকর দলুইয়ের অনুগামীরা দেবের অনুগামীদের উপর হটাতই আক্রমণ করেন। বাঁশ, লাঠি নিয়ে শুরু হয় মারপিট। সাংসদের সামনেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, বাঁশ দিয়ে পেটানো চলতে থাকে। দুজনের সমর্থকদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।বৈঠকে বাঁশ-লাঠি কোথা থেকে এল এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই দেব অনুগামীরা আঙুল তোলে প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুই গোষ্ঠীর দিকে। ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশি তড়িঘড়ি দেবকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। গোটা বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তিনি। দেবের কথায়, ‘আমি এটা চাইনি। আমার সামনে এসব দুর্ভাগ্যজনক। আমি ঝামেলা মেটানোর জন্যই এসেছিলেন। গোটা বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’ এদিকে শংকর দলুই বলেন, ‘সকালেই আমাদের ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। তাতে কমিটিতে যোগ-বিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মাঝে কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।”
এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘গোটা দলটাই যখন বিপথগামী, অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ হবেই। শিশুমেলার আয়োজন করছে, কিন্তু শিশুকল্যাণ এদের উদ্দেশ্য নয়। মেলার আড়ালে রয়েছে বিজ্ঞান থেকে রোজগার, ঠিকাদারদের থেকে রোজগার, চাঁদা তোলে থেকে রোজগার। সেই নিয়েই এই অশান্তি’।