নদিয়ার শান্তিপুরে কালীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূর গায়ে মদ ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার স্বামীকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনার ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা এলাকায়। অভিযোগ দায়ের হয় শান্তিপুর থানায়। শান্তিপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৪ জনের নাম দীপক রাজবংশী, পাঁচুগোপাল মণ্ডল, ভজন বিশ্বাস ও সাধন বিশ্বাস। ধৃতদের সোমবার আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতদের দাবি, তাঁরা ওই মহিলার গায়ে মদ দেননি। একটি অল্পবয়সী ছেলে জলের বোতল থেকে জল ছিটিয়েছিলেন। তাঁরা মারামারি আটকাচ্ছিলেন। মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের।
অভিযোগ, কালী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলাকালীন বোতল থেকে ছিটকে গিয়ে মদ পড়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়া ওই গৃহবধূর গায়ে। প্রতিবাদ জানালে মুখে থাকা মদ ছিটিয়ে দেওয়া হয় মহিলার গায়ে। এরপর মদের বোতল দিয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁর এক বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
নিমেষের মধ্যেই রণক্ষেত্রের রূপ নেয় গোটা এলাকা। উত্তেজনা সামাল দিতে ছুটে আসেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এলাকার যুবকরা। তাঁদের মধ্যস্থতায় ঝামেলার সাময়িক নিষ্পত্তি হলেও আক্রান্ত স্বামী এবং বন্ধু হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে থানার দ্বারস্থ হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর রেল স্টেশন এবং গোডাউন মাঠের দিক থেকে পরপর তিনটি প্রতিমা বিসর্জনের বাজনা এবং আলোকসজ্জা সহ শোভাযাত্রা নিয়ে কাশ্যপপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় একটি পুজো উদ্যোক্তাদের কয়েক জনের সঙ্গে মোটরসাইকেল করে যাওয়া ওই দম্পত্তির সঙ্গে বচসা বাঁধে। তাঁদের নাম – সৌভিক কর ও রিমি কর। লাইব্রেরির লাগোয়া দত্তপাড়ার বাসিন্দা ওই দম্পতি।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এ ধরনের আচরণের জন্য দু-একজন যুবক ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে স্ত্রীর প্রতি এ ধরনের ন্যক্কারজনক ব্যবহার স্বামী সৌরভ কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়তেই অন্যান্য পুজো উদ্যোক্তারা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।