দীর্ঘ বাম জামানায় অন্ধকারেই ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী-১ ব্লকের চাঁদপুর আদিবাসী পাড়া। তৃণমূল সরকার আসার পর ‘আঁধার কলোনি’ আদিবাসী পাড়ায় আজ আলোর রোশনাই। উন্নয়নও হয়েছে, মাস গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাও পাচ্ছেন আদিবাসী মহিলারা এমনটাই জানালেন তারা। আর লক্ষ্মী ভাণ্ডারের জমানো টাকায় চারদিনের লক্ষ্মী পুজোয় মেতেছেন এলাকার আদিবাসী মহিলারা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
বাম আমলে অবহেলিত বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে একটি চাঁদপুর আদিবাসী পাড়া। পর্যাপ্ত পানীয় জল সহ এখানে ছিল না বিদ্যুৎ ও রাস্তাঘাটের সুবিধা। এলাকাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ” আঁধার কলোনি “নামে পরিচিতি পায়। তৃণমূল সরকার আসার পর আদিবাসী পাড়ায় ঢালাই রাস্তা হয়েছে। ঘরে ঘরে পানীয় জল সহ বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছায়। জানা গেছে গ্রামটিতে প্রায় ৩০ ঘর আদিবাসী পরিবার রয়েছে। অধিকাংশ পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা খেতমজুর। দিনমজুরি করে সংসার চালান। গ্রামের মহিলাদের মধ্যে প্রায় সকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক অনুদান পান। এবার মহিলারা লক্ষ্মীভাণ্ডারের টাকায় বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে করেছেন। পুজোর আয়োজন থেকে প্রতিমা আনা, সবই করেন মহিলারা। বিধায়কের উদ্যোগে নির্মিত গ্রামের মনসাতলার আটচালায় হয় লক্ষ্মীপুজো আয়োজন। বৃহস্পতিবার পুজো উপলক্ষ্যে ছিল ভূরিভোজের ব্যাবস্থা। গ্রামের মহিলারা জানান মাঠে খামারে কাজ করে কোনওরকমে দিন চলে আমাদের।
তবে সকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাই। এতদিন ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর পুজো হলেও এবার আমরা গ্রামে তৈরি হওয়া আটচালায় বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো করছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকা নিয়ে অনেকে এগিয়ে এসেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ গ্রামের অনেকে অন্যান্য ভাতাও পাচ্ছে। এরজন্য আমরা কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে। অন্যদিকে মন্ত্রী বলেন, এখন এই গ্রামে সবই হয়েছে। গ্রামে বারোয়ারিভাবে একটি স্থায়ী আটচালা তৈরি হয়েছে। গ্রামের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতেছেন। আমরা সবসময় ওঁদের পাশে আছি।