ফরাক্কা কাণ্ডে গ্রেপ্তার মাছ ব্যবসায়ী, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন-খুনের ঘটনায় ধৃত মোট ২

Person in handcuffs

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। এবার সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত ফরাক্কা থানার রেল কলোনি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। খুনের পর দেহ বস্তাবন্দি করার পরিকল্পনাও ছিল তাঁরই। খুনের পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও অপহরণ, আটকে রাখা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর গত ১৩ অক্টোবর নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পলাশি রেল কলোনি পাড়ায় দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। ১৩ অক্টোবর সকালে দাদুর বাড়ির সামনেই কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল সে। কিন্তু আচমকাই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরাও। কয়েক ধণ্টা নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়।

এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। প্রতিবেশী অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ব্যাপক মারধর করা হয় অভিযুক্তকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।


পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের কথা কবুল করেছেন অভিযুক্ত। তবে তাঁর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে কি তিনি একাই যুক্ত? না কি একাধিক ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন? অভিযুক্তকে এই প্রশ্ন করতেই বেরিয়ে আসে দ্বিতীয় জনের নাম। দ্বিতীয় অভিযুক্ত পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন তিনিও মূল অভিযুক্তের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।