• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

বোল্লাকালী পুজোয় চূড়ান্ত অব্যবস্থা, হুড়োহুড়িতে জখম ভক্তরা

ক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লাকালী পুজোয় চূড়ান্ত অব্যবস্থা। হুড়োহুড়িতে জখম বেশ কয়েকজন ভক্ত। মন্দিরের ভিআইপি পাস বিতরণেও অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে।

ক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লাকালী পুজোয় চূড়ান্ত অব্যবস্থা। হুড়োহুড়িতে জখম বেশ কয়েকজন ভক্ত। মন্দিরের ভিআইপি পাস বিতরণেও অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে। পুণ্যার্থীদের একাংশের অভিযোগ, প্রতি বছরই এই মেলায় ভিড় হয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি আয়োজক কমিটি। যদিও কমিটির দাবি, আগামী কয়েকদিন এ জাতীয় সমস্যা হবে না।

বালুরঘাট থেকে ২৬ মাইল দূরত্বে বোল্লা গ্রামে বোল্লা কালীর অবস্থান। রাস উৎসবের পরেই দেবীর পুজো শুরু হয়। তিন দিন পুজো ও মেলা শেষে মায়ের প্রতিমা মন্দির সংলগ্ন পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে সারাবছর বোল্লা মাতার দর্শন করতে পারেন না পুণ্যার্থীরা। প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রুপো দিয়ে মুখ তৈরি করা হয়েছে মায়ের। ১২০ গ্রাম সোনার জিহ্বা রয়েছে দেবীর।

চারদিন ধরে চলা এই পুজোয় সোনা ও রুপো মিলিয়ে অন্তত ৩০ কেজি ওজনের অলঙ্কার পড়ানো হয়। উত্তরবঙ্গ সহ বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা এখানে পুজো দিতে আসেন। কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। শুক্রবার রাতে পুজো শুরু হয়েছে। চলবে রবিবার পর্যন্ত। পুজো দেওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ ভক্তদের। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

শনিবার ভক্তদের লাইনে আচমকাই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবকের ব্যাজ ঝোলানো তরুণদের দেখা গেলেও ভিড় নিয়ন্ত্রণে তাঁদের এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। ভিআইপি পাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে অভিযোগ। কারও কাছে ২০০, কারও কাছে ৫০০ টাকা নেওয়া হলেও পুজো দেওয়ার সঠিক ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ।

মন্দির কমিটির পক্ষে মানসরঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, আমরা তরুণদের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বলেই এমনটা ঘটেছে। তবে আগামী দিনগুলিতে যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সবকিছু সম্পন্ন হয়, সেটা আমরা দেখব।