কালনা হাসপাতালের নিরাপত্তায় জোর, ‘রাত্রি সাথী’ প্রকল্পে বরাদ্দ ১৫ লক্ষ টাকা  

আরজি কর-কাণ্ডের জেরে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তায় জোর। ‘রাত্রি সাথী’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হল ১৫ লক্ষ টাকা। খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের আওতায় একাধিক কাজ শুরু হতে চলেছে। তালিকায় রয়েছে নার্সদের কমন টয়লেট-রেস্ট রুম সংস্কার, ডাক্তারদের অনকল রুম সংস্কার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, নার্সিং হোস্টেল সংস্কার, আলোর ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতালের চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি। হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে বসবে আরও সিসি ক্যামেরা।

প্রায় ২৫ বিঘা এলাকাজুড়ে রয়েছে শতবর্ষ প্রাচীন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতাল। দু’টি হাসপাতাল মিলিয়ে বেডের সংখ্যা মোট ৫৩৪। এছাড়াও রয়েছে এইচডিইউ, এসএনসিইউ, প্যাথলজি ল্যাব, ডায়ালিসিস সহ আরও একাধিক ইউনিট, আউটডোর পরিষেবা এবং ওষুধের দোকান। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার রোগী আউটডোরে পরিষেবা পান। শুধু কালনা নয়, পাশ্ববর্তী হুগলি ও নদিয়া জেলার বহু মানুষও চিকিৎসার জন্য এই দুই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। তবে সম্প্রতি আরজি কর-কাণ্ডের জেরে দুই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বৈঠকও হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং সাংসদ শর্মিলা সরকার।

বৈঠকে নার্সরা তাঁদের হোস্টেলের নিরাপত্তা ও বেহাল দশা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের রেস্ট রুম ও চেঞ্জিং রুম সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গেটের দাবি জানানো হয়। মন্ত্রী ও সাংসদ দু’জনই বিষয়গুলি দ্রুত গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য সুপারকে নির্দেশ দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানায়। এরপরই ‘রাত্রি সাথী’ প্রকল্পে হাসপাতালের বাউন্ডারিতে কাঁটাতারের বেড়া, নার্সিং হোস্টেল সংস্কার এবং নতুন করে গেট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।


চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য রেস্টরুম সহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে কয়েক লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়। দু’টি হাসপাতাল মিলিয়ে ৮২টি সিসি ক্যামেরা থাকলেও মহকুমা হাসপাতালের জন্য নতুন করে ৩৪টি সিসি ক্যামেরা মঞ্জুর হয়েছে। অন্যদিকে কালনার দোগাছিয়া প্রাথমিক হাসপাতালে গিয়েও পরিদর্শন করেন সাংসদ শর্মিলা সরকার, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, এলাকার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক। কীভাবে ওই হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে সকলকে সুস্থভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতেও দীর্ঘ আলোচনা হয়।