• facebook
  • twitter
Friday, 15 November, 2024

খড়গপুর শহরে হাতির পাল, আতঙ্কের সঙ্গে উৎসাহও

শহরে ঢুকে পড়া নটি হাতি ৬,৭ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সুভাষপল্লীর একটি বাড়িতে হাতির দল কলাবাগান নষ্ট করে এবং বাড়ির গেট ভেঙে দেয় ।

খড়্গপুরে হাতির হানা। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ মেদিনীপুর ডিভিশন থেকে দশটি হাতি কাঁসাই নদী পেরিয়ে খড়গপুর গ্রামীণ এলাকায় ঢোকে। তাদের মধ্যে আটটি পূর্ণবয়স্ক এবং একটি অল্পবয়সী হাতি। রাত আড়াইটে নাগাদ এই হাতির দল খড়গপুর শহরে ঢুকে পড়ে। সুভাষপল্লী, ২০ নং ওয়ার্ড রেল সেটেলমেন্ট এলাকা এবং তারপরে খড়গপুর রেল ইয়ার্ড পেরিয়ে হাতির দলটি বর্তমানে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের পাশে রেলের জোনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পাশের জঙ্গলে রয়েছে । হাতির দলকে ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকে সুভাষপল্লী, ভবানীপুর এলাকায় ছিল আতঙ্কের পরিবেশ । অন্যদিকে চাঁদমারীর জঙ্গলে থাকা হাতির পালকে দেখতে মানুষের উৎসাহ ছিল চরমে । উৎসাহী মানুষকে ঠেকাতে পুলিশ এবং আরপিএফকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় । এডিএফও চিন্ময় বর্মন জানান, আপাতত এই জঙ্গল এলাকাকে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে । রাত হলে হাতির পালকে শহর থেকে বের করে দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

মেদিনীপুর ডিভিশন থেকে হাতির দলটি কাঁসাই নদী পেরিয়ে খড়গপুর গ্রামীণ এলাকার বড়কোলা এলাকায় ঢোকে । এরপর হাতির দলটি সতকুইয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাড়া খেয়ে খড়গপুর শহরের ভবানীপুর এলাকায় ঢুকে পড়ে ।খড়্গপুরের এডিএফও চিন্ময় বর্মন বলেন, হাতি মূল করিডর থেকে সরে এসে এই প্রথম খড়গপুর শহরে ঢুকে পড়েছে। ফসলের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া সেরকম বড় ধরনের কোন ক্ষতি হাতির দলটি এখনো অব্দি করেনি। হাতি দেখতে প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে হাতিকে সরানো সম্ভব নয়। তাহলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে । জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব এলাকায় 163 নং ধারা বলবৎ করতে।

শহরে ঢুকে পড়া নটি হাতি ৬,৭ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সুভাষপল্লীর একটি বাড়িতে হাতির দল কলাবাগান নষ্ট করে এবং বাড়ির গেট ভেঙে দেয় । ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লীর বাসিন্দা সৌভিক রায় চৌধুরী বলেন, রাত সাড়ে চারটে নাগাদ ন থেকে দশটা হাতি বাড়ির পিছন দিয়ে ঢুকে কলাবাগান নষ্ট করে সামনের গেট ভেঙে বেরিয়ে যায়। ২০ নং ওয়ার্ডেও তৃণমূল পার্টি অফিসের দেওয়াল ভেঙে দেয় হাতির দলটি। প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, খড়গপুর গ্রামীন এলাকার বড়কোলা থেকে আমার ৬ নং ওয়ার্ড হয়ে হাতি ঢোকে। ২০ নং ওয়ার্ডে আমার অফিসের পিছনের দেওয়াল ভেঙেছে । ভাগ্য ভালো ভগবানের কৃপায় দেওয়াল ভাঙ্গায় পাশের বস্তিতে হাতি ঢোকেনি। মানুষ বেঁচে গিয়েছে। খড়গপুর শহরের মধ্যে জীবনে এই প্রথম হাতি ঢুকতে দেখলাম। ২৭ নং ওয়ার্ডে রেলের চিকিৎসক ডা: সোমা হালদারের বাংলোর দেওয়ালও ভেঙে দেয় হাতির দলটি । এডিএফও চিন্ময় বর্মন বলেন, হাতি ক্ষয়ক্ষতি করলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা বন দপ্তর করবে ।