মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের পরই নড়েচড়ে বসলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বালি ও গৌণ খনিজ পদার্থের অবৈধ খনন, পরিবহন, মজুত এবং বিক্রির বিষয়ে কঠোর নির্দেশ জারি করলো জেলা প্রশাসন। জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকদের এই ব্যাপারে নিয়মিত কড়া নজরদারি চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। এক্ষেত্রে ছুটির দিন বাদে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে সপ্তাহের প্রতিদিন, মহকুমা আধিকারিকদের সপ্তাহে চার দিন এবং ব্লক ভূমি আধিকারিকদের সপ্তাহে তিনদিন করে বেআইনি খনন স্থল পরিদর্শন, বেআইনিভাবে পরিবহন, অবৈধ মজুত ও বিক্রির উপর নজরদারি চালাতে হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত এনফোর্সমেন্ট প্রোগ্রাম জেলা স্তরে এবং মহকুমা স্তরে পরিবহন আধিকারিক এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এবং ব্লক স্তরে স্থানীয় থানার সাথে যৌথভাবে নির্দেশ কার্যকর হবে। প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কর্মসূচির সময়সূচি সংশ্লিষ্ট ভূমি দপ্তরগুলোকেই আগে থেকে প্রস্তুত করতে হবে এবং তার একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষ এবং মুখ্য ও অতিরিক্ত পরিবহন আধিকারিকের অফিস গুলিতে পৌঁছে দিতে হবে। নির্দেশে জানানো হয়েছে, এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, অভিযান চালানোর সময় যেন সমস্ত দলের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে যানবাহন চেক করার জন্য অনুমোদিত অফিসারের নেতৃত্ব রয়েছে। একই সঙ্গে, অনুমোদন নেওয়া ইজারাদাররা সঠিক জায়গায় খাদান চালাচ্ছে কিনা, সেটাও দেখা হবে। আইন অনুযায়ী জরিমানা, অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ একই দিনে রিপোর্ট জমা করতে হবে। এছাড়াও যানবাহন চেক করা এবং বালির ঘাট পরিদর্শন করা সহ এনফোর্সমেন্ট কার্যকলাপ সম্বন্ধীয় সাপ্তাহিক রিপোর্ট ডকুমেন্টেশন সহ সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস গুলিকে জেলা অফিসে জমা দিতে হবে।