পরকীয়া সম্পর্কে পরিবারের বাধা মানতে না পেরে ‘আত্মঘাতী’ যুগল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার অন্তর্গত পাইকপাড়া এলাকার ঘটনা। দূর সম্পর্কের ভাগ্নের সঙ্গে মামির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই সম্পর্ক ঘিরেই পরিবারে অশান্তি তৈরি হয়। সম্পর্কে টানাপোড়েন মেনে নিতে পারেনি যুগল। পরিবারের দাবি, ভিডিও কল করে দুই বাড়িতে দু’জন আত্মঘাতী হয়েছেন। বজবজ থানার পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের মোবাইল দুটি বাজেয়াপ্ত করেছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০ বছরের প্রেমের পর বিয়ে হয়েছিল নন্দনপুরের বাসিন্দা অনন্যা ও পাইকপাড়ার আশা গাজিতলার বাসিন্দা, রণজিৎ সর্দারের। তাঁদের আড়াই বছরের সন্তানও রয়েছে। রণজিতের একটি বাইক সারানোর গ্যারেজ রয়েছে। রণজিতের পিসতুতো দিদির ছেলে রাকেশ ওরফে রকি বাগের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনন্যা। রকি প্রায়ই মামাবাড়িতে আসত। মামির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা কারোরই অজানা ছিল না।
রকির পরিবারের অভিযোগ, আয়ের বেশিরভাগ অংশই মামির পিছনে খরচ করতেন রকি। সম্প্রতি মাস দুয়েক হল রকি আর কাজে যাচ্ছিলেন না। বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছিলেন মামির সঙ্গে। সোমবার রাতে দু’জনেই দু’জনের বাড়িতে আলাদা আলাদাভাবে মোবাইলে কথা বলতে বলতেই চরম সিদ্ধান্ত নেন ওই যুগল। অনন্যাকে উদ্ধার করে বজবজ পৌর হাসপাতালে তড়িঘড়ি নিয়ে আসলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে এই মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।