• facebook
  • twitter
Saturday, 30 November, 2024

নীল-সাদা রঙ বদলে গেরুয়া, মালদহের পঞ্চায়েত কার্যালয়ের রং নিয়ে তরজা

রং নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের নীল–সাদা রং বদলে করে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া।

রং নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের নীল–সাদা রং বদলে করে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত কার্যালয়টিকে পার্টি অফিসে পরিণত করার অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সব সরকারি অফিসে নীল–সাদা রং কেন করা হবে ?

আকাশি রঙকে রাজ্যের রং হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মেনেই রাজ্য সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজকর্মে এই রঙের ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি ভিআইপি রোর্ডের উপর তৈরি ঝিল্লিকা পার্কের রং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল মন্ত্রী সুজিত বোসকে। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মমতা বলেন, ‘দেখলাম, অনেক বিল্ডিংয়ে লাল, না হলে গেরুয়া রং লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি কিন্তু কোথাও আমার পার্টির রং ব্যবহার করি না।’

মমতার নির্দেশ মেনে সরকারি সমস্ত অফিসকে নীল–সাদা রং করা হয়েছে। সেই মতো ভাবুক পঞ্চায়েত ভবনেরও রং ছিল নীল–সাদা। গত কয়েকবছর ধরে সংশ্লিষ্ট এলাকা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। এই পঞ্চায়েতে ১৯টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন বিজেপির সদস্য। তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ৭, বাকি ১ জন নির্দল সদস্য। সম্প্রতি এই পঞ্চায়েত ভবনে গেরুয়া রং করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পঞ্চায়েত কার্যালয়কে পার্টি অফিস করতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদ গড়ে তুলতে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। যতদ্রুত সম্ভব রং পরিবর্তনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘যদি গেরুয়া রং করতেই হয়, তবে রাজ্য থেকে সমস্ত টাকা নেওয়া বন্ধ করে দিক পঞ্চায়েত প্রধান।’ অপরদিকে এক বিজেপি সদস্যের কথায়, ‘পঞ্চায়েত স্বশাসিত। তাই সেখানে কেউ রং নির্ধারণ করে দিতে পারবে না। তৃণমূল সরকারি জায়গায় নীল-সাদা রং নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু ভাবুক অঞ্চলে মানুষের জন্য বিজেপি কাজ করে। পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটি বুথে বিজেপির লিড ছিল। এখানে তৃণমূল অহেতুক রাজনীতির চেষ্টা করছে।’