বৈদ্যুতিন বর্জ্য নিয়ে এ মুহূর্তে সারা বিশ্বেই সমস্যা। আর সেই সমস্যা বিষয়ে সম্মেলন আয়োজিত হলো শহর বর্ধমানে। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ স্বীকৃত কলকাতার বেসরকারি বর্জ্য ব্যবস্থাপক সংস্থা হুলাডেক রিসাইক্লিং এর উদ্যোগে এই সম্মেলন হয়। সহযোগিতা করে স্টার্ট আফ ফাউন্ডেশন। বর্ধমান শহরের একটি অভিজাত হোটেলের সভাকক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিজ্ঞ মানুষজন এই সভায় যোগ দেন।এ বিষয়ে জেলার ইলেকট্রনিক বর্জ্য সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি বিগত সময়ে সঠিকভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বা সচেতনতায় যারা বিশেষ অবদান রেখেছে তাদের সম্মানীত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন হুলাডেক এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নন্দন মাল, মার্কেটিং ম্যানেজার দেবপিথা হালদার, স্টার্ট আফ ফাউন্ডেশনের পূর্ব বর্ধমান জেলার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সন্দীপন সরকার, চিফ এক্সিকিউটিভ পার্থ প্রতিম মিত্র, সেন্টার ইনচার্জ সত্যজিৎ ঘোষ।
এদিনের বৈদ্যুতিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেন তেজগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ কুমার চক্রবর্তী, পরিবেশ কর্মী প্রিয়ব্রত পাঁজা, কাঞ্চন নগর দিনোনাথ দাস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ সুভাষচন্দ্র দত্ত, সাদিপুর ডি এস স্মৃতি বিদ্যানিকেতন এর প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দ্রনাথ পাল, কৈচর ষোড়শীবালা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা গার্গী সামন্ত, বর্ধমান রাজ কলেজের এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার ডঃ ওম শঙ্কর দুবে, দুর্গাপুরের জামুয়া ভাদু বালা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আইনুল হক, রোটারী ক্লাব অফ বর্ধমান অ্যামেনিটি’র সভাপতি সহ অন্যান্যরা। হুলাডেক এর তরফে উদ্যোগপতি নন্দন মাল জানান, প্রাক দীপাবলিতে বিশেষ অভিযানে রাজ্যের নিরিখে সর্বোচ্চ পরিমাণ ২১০২ কেজি ই-বর্জ্য সংগ্রহের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্টার্ট আপ ফাউন্ডেশন পুরস্কৃত হয়। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে বিগত ৬ মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৯৭ টি স্কুল সহ অনান্য জেলার আরো ৪৭ স্কুলে ক্রমাগত কর্মশালা আয়োজন করা হয় বলে সংস্থার তরফে সন্দীপন সরকার জানান। জেলায় ওই একই ক্ষেত্রে বিদ্যালয় বিভাগে ‘সড্ড্যা হাই স্কুল’ ও ‘সাদিপুর ডি. এস. স্মৃতি বিদ্যালয় পুরস্কৃত হয়। ব্যাক্তিগত বিভাগে সৌম্যদীপ ঘোষ, মহম্মদ ইয়াসিন সেখ ও রাজ ঘোষ পুরস্কার পায়।