• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ছাত্রীদের  ‘অশ্লীলভাবে স্পর্শ’ করার অভিযোগে পঠন-পাঠন  বন্ধ, অভিযুক্ত পলাতক

ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আজমিরা খাতুন আব্দুস সাত্তারকে জানিয়ে দেন যে, পরিস্থিতির পরিবর্তন  না ঘটলে তাঁরা সকলেই একযোগে পদত্যাগ করবেন।

প্রতীকী চিত্র

বর্তমান সময়ে চারদিকে ঘটে চলা  অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে, একটি শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শরীর ‘অশ্লীলভাবে স্পর্শ’ করার অভিযোগ ওঠার পর-ই অনন্যোপায় হয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন। সেখানকার আবাসিক ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে সমগ্র পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করে, তাঁদের মেয়েদের বাড়ি নিয়ে জিতে বলেন তিনি। বীরভূমের লাভপুরের আল আমিন মিশন বালিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আজমিরা খাতুন এব্যাপারে লাভপুর থানায়  লাভপুর আল আমিন মিশন বালিকা শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক  আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরই অভিযুক্ত সম্পাদক বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। লাভপুর থানার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও আব্দুস সাত্তারের সন্ধান পায়নি। তাঁর মোবাইলটি বন্ধ থাকায়, টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে, শনিবার  ৭ সেপ্টেম্বরের শেষ টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিশ অভিযুক্ত সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লাভপুরের আল আমিন মিশন আবাসিক বালিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন আবাসিক ছাত্রীরা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আজমিরা খাতুনের কাছে অভিযোগ করে জানায় যে,  আল আমিন মিশন বালিকা শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক আব্দুস সাত্তার তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁদেরকে  ‘অশ্লীলভাবে স্পর্শ’ করেন। দিনের পর দিন এই দুষ্কর্ম বেড়ে যাওয়ায়, তাঁরা জানাতে বাধ্য হচ্ছেন। এরপরই আজমিরা খাতুন  আব্দুস সাত্তারকে ডেকে পাঠালে তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেন। সেখানে তাঁকে আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ সম্পর্কে  জানানো হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান যে, ছাত্রীদের কোথাও বিষয়টি  বুঝতে ভুল হচ্ছে। তিনি আবাসিক ছাত্রীদের খোঁজখবর নেন মাত্র। তিনি কোনও ছাত্রীকে  ‘অশ্লীলভাবে স্পর্শ’ করেননি।

এনিয়ে ছাত্রী ও অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে তীব্র বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আব্দুস সাত্তার। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আজমিরা খাতুন আব্দুস সাত্তারকে জানিয়ে দেন যে, পরিস্থিতির পরিবর্তন  না ঘটলে তাঁরা সকলেই একযোগে পদত্যাগ করবেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিষয়টি লাভপুর থানায় জানানো হলে, সেখানে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরদিন শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবাসিক ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে তাঁদের সমস্ত বিষয়ে অবগত করা হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অভিভাবকদের তাঁদের মেয়েদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই পুলিশ আব্দুস সাত্তারের সন্ধান পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন যে, আব্দুস সাত্তার মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন। তাঁর বাংলাদেশ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।