একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসায় তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের মামলায় আদালত অভিযুক্তদের কঠোর সাজাও দিচ্ছে। তোলপাড় ফেলে দেওয়া কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। আর এবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বীরভূমের মহম্মদবাজার থানায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার চিরঞ্জীব সিংহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেমন তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে তেমনই, দ্রুত এই মামলা শেষ করে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার চিরঞ্জীব সিংহের ফাঁসির দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে যে, মহম্মদবাজার থানায় কর্মরত মহম্মদবাজারেরই সিভিক ভলান্টিয়ার চিরঞ্জীব সিংহ স্থানীয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই নাবালিকা ছাত্রীকে গত ১ নভেম্বর বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এই ভয়ে ওই নাবালিকা ছাত্রীটি বিষয়টি কাউকে জানায়নি। কিন্তু মেয়ের স্বাভাবিক ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, তাঁর মা অজানা আশঙ্কায় মেয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চান। প্রথমে মেয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার চিরঞ্জীব সিংহের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির ভয়ে কিছু বলতে না চাইলেও, পরে সে মায়ের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।
এরপরই শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ওই নাবালিকার মা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সিউড়ি মহিলা থানায় এসে সিভিক ভলান্টিয়ার চিরঞ্জীব সিংহের বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আনলে মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুততার সাথে শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার চিরঞ্জীব সিংহকে গ্রেফতার করে শনিবার ১৪ ডিসেম্বর সিউড়ি আদালতে পেশ করলে বিচারক চিরঞ্জীব সিংহকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নাবালিকার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাঁর জবানবন্দিও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।