হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ধস বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণের চেক। বৃহস্পতিবার হাওড়ার সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ স্কুলে বাসিন্দাদের চেক প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি গৃহহীন পরিবারদের জন্য অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। স্থানীয় স্কুলবাড়ি ও কন্টেনারে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের জন্য পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতে হবে। কন্টেনারে তাঁরা থাকতে পারবেন না।
বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তার পরিবর্তে শহরের রোজকার জঞ্জাল শিবপুরের আড়ুপাড়ায় ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার সেই এলাকায় আবর্জনা ফেলতে গেলে ময়লার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। সেই কারণে আপাতত হাওড়ার সব আবর্জনা কলকাতার ধাপার মাঠে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৬০টি অতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ১৫ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি অল্প ক্ষতিগ্রস্ত ১১৩টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকার চেক। পুরমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, গৃহহীন পরিবারগুলিকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। অস্থায়ী বাসস্থানের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কন্টেনারকে কেটে দরজা জানালা তৈরি করে বাসযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, সেই সমস্ত কন্টেনারে গরু, মোষও থাকতে পারবে না। তাই সেখানে বসবাস করবেন না তাঁরা।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল হাওড়া পুরসভা। এই বৈঠকে গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও জঞ্জাল অপসারণের বিকল্প পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী বাসস্থান তৈরির আগে মাটি পরীক্ষা করে দেখা হবে সেই মাটি ভার বহন করতে সক্ষম কি না। এই বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।