সুন্দরবন পুলিশ জেলার ১৩টি রুটে একদিনের বাস ধর্মঘট ডেকেছিল বাস মালিক সংগঠন। যার জেরে সোমবার ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা।
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে হঠাৎ বাস না চলায় বিপাকে পড়েন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষজন। ফলতা, কাকদ্বীপ, বকখালি-সহ ১৩টি রুটে বাস একেবারে বন্ধ ছিল। বহু যাত্রীকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ব্রেক-জার্নি করে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়, কেউ আবার নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পেরে সমস্যায় পড়েন।
বাস মালিক সংগঠনের দাবি, পারমিট ছাড়াই নানা ধরনের যানবাহন (অটো, টোটো, ম্যাজিক, ট্রেকার ইত্যাদি) প্রতিদিন রাস্তায় চলাফেরা করছে, যা তাঁদের রোজগারে বড়সড় প্রভাব ফেলছে। যাত্রী কমে যাওয়ায় অনেক মালিক রোড ট্যাক্স, বিমা বা ঋণের টাকা মেটাতে পারছেন না, সংসার চালানোও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না হওয়াতেই তারা ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন।
তবে, এদিনের ধর্মঘটের পর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সংগঠন। আলোচনায় আশ্বাস দেওয়া হয় সমস্যার দ্রুত সমাধানের। এরপরই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সংগঠন, এবং জানায়, মঙ্গলবার থেকে আবারও সব রুটে স্বাভাবিক বাস পরিষেবা চালু হবে।
তবে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি। সুন্দরবন জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট কমিটির সভাপতি রইচ মোল্লা বলেন, এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে এরপর লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়া হবে।