নাবালিকাকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে

নাবালিকাকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার ভীমপুর থানার নারায়ণপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২১ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। হন্যে হয়ে খুঁজেও কোনও হদিশ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নাবালিকার দাদু। তদন্তে জানা যায়, নারায়াণপুরেরই এক যুবক, ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাবালিকার। গ্রামবাসীদের কাছে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, প্রায়শই দু’জনকে এলাকায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। এরপরেই ফারুককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

প্রথমে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে ফারুক। কিন্তু পরে জেরায় একসময় ভেঙে পড়ে। সে জানায়, নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে সে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য, নারায়ণপুর গ্রামেই একটি ফাঁকা জায়গায় মাটি চাপা দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কঠোর পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দেহ উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে জেরা করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃতা এবং ধৃতের বাড়ি ভীমপুর থানা এলাকাতেই। পেশায় রাজমিস্ত্রি বছর চব্বিশের যুবকের সঙ্গে ১৭ বছরের মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু এখনই বিয়ে করতে রাজি হননি যুবক। অন্যদিকে পরিবারের দাবি, প্রেমিককে মেয়েটি জানিয়েছিল সে অন্তঃসত্ত্বা। তখন তাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেন প্রেমিক। কিন্তু অনাগত সন্তান নষ্ট করতে রাজি হয়নি ১৭ বছরের নাবালিকা। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল।


তার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে যায় মেয়েটি। বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও কোথাও পায়নি মেয়েকে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে।