ফিডার ক্যানেলে ভেসে উঠল মালদহের নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর দেহ

প্রতীকী চিত্র।

৮ দিন পর রবিবার সকালে ফরাক্কার শঙ্করপুর ফিডার ক্যানেলের জলে ভেসে উঠল মালদহের নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর দেহ। গত রবিবার দুপুরে এনটিপিসি কেদারনাথ সেতু থেকে ফিডার ক্যানেলের জলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিনি। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা দীপ্তি ভকত গত রবিবার মালদহের নিজের বাড়ি থেকে কুলিক এক্সপ্রেসে রামপুরহাট যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সেখানে থেকে ঝাড়খণ্ডের দুমকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ফরাক্কায় এসে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। ফরাক্কা এনটিপিসি ফাঁড়ির পুলিশ কেদারনাথ সেতুর উপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মোবাইল ফোন এবং দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ টাকা ছাড়াও ছাত্রীর পরিচয়পত্র, ওড়না, খুচরো কিছু পয়সা এবং কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছিল। তারপর টানা তল্লাশি চলে। কিন্তু হদিশ মেলেনি।

পরিবারের দাবি ছিল, দীপ্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যদিও পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছাত্রীর মেসেজ দেখে পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তৈরি হওয়া একটি গ্রুপে দীপ্তি লিখেছিলেন, ‘আমার ২০ বছরের অভিশপ্ত জীবনের ইতি টানলাম। তোমরা ভালো থেক। গুড বাই।’ যদিও ছাত্রী আত্মহত্যার দাবি মানতে নারাজ পরিবার। অবশেষে ৮ দিন পর ফিডার ক্যানেলের জলে ভেসে উঠল দীপ্তির দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।