সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  বিজেপির জয়

রবিবার নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর সমবায় সমিতিতে  বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা, ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনেই জয়লাভ করার পর,  এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা কাপাসদা সমবায় সমিতিতেও ৫১ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল গেরুয়া শিবিরের অনুগামীরা। এতদিন এই  সমবায় সমিতি বামেদের দখলে ছিল। বামেদের হাত থেকে নিয়ে এই সমবায়ের ৫১টি আসনেই  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘পদ্মফুল ফুটল’।

সোমবার সকাল ১০টায় সকল  জয়ী প্রার্থীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। লোকসভা নির্বাচনেও এই জেলার ওই দুটি কেন্দ্রেই জিতেছিল বিজেপি প্রার্থীরা। তৃণমূলের কাঁথি সংগঠনিক জেলার  চেয়ারম্যান তরুণ মাইতির বিধানসভা কেন্দ্রে  বিজেপির এই ধরনের জয়লাভ  পদ্ম শিবিরের শক্তিবৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করছে বলে অনেকে মনে করছেন।

স্থানীয় বিজেপি নেতা তন্ময় হাজরা বলেন,’এতদিন এই কাপাসদা সমবায় বামেদের দখলে ছিল। এবার সর্বসম্মতিতে ৫১ টি আসনেই আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছি।’  অন্যদিকে  সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে স্থানীয় বাম-কর্মীসমর্থকেরা বিজেপির হয়ে প্রার্থী দিয়েছেন।  তৃণমূলের কাজকর্ম দেখে মানুষ বিরক্ত।’


এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুন মাইতিও  বিজেপির এই জয়ের জন্য বামেদেরই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই সমবায় সমিতি দুটো বুথের উপর নির্ভরশীল। সেখানে তৃণমূল কখনও জেতেনি। বামেদের দখলে ছিল। এখন তারা বিজেপি হয়ে গিয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তৃণমূল ওই সমবায় সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেয়নি। তবে সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে,  এইভাবে একের পর এক সমবায় সমিতিতে  পদ্মশিবির জয়লাভ করায়,  পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা, এই নিয়ে  রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।