এর আগে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির সঙ্গে এক গোপন ডেরায় বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল। এবারে অবশ্য আর গোপন ডেরা নয়, খড়গপুর কলেজের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য মঞ্চে উঠে তৃণমূল বিধায়ক দীনেন রায়কে প্রগাঢ় আলিঙ্গনে কাছে টেনে নিলেন খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। আর তারপরেই শহরজুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কের এই সহবস্থান নিয়ে শুরু হলো জোর চর্চা।
খড়্গপুরের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দীনেন রায় বলেন, খড়গপুর কলেজের আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। এটা রাজনীতির আঙিনা নয়। বহু শিক্ষাবিদ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সকলেই মঞ্চে ছিলেন। কলেজে গবেষণা এবং লাইব্রেরির জন্য মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছি।
খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০২১ সাল থেকে আমি শহরের বিধায়ক। চার বছর বাদে কলেজে কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি আমার কাছে কোনও আবেদন রাখেন তাহলে আমার বিধায়ক তহবিলের টাকায় যথাসাধ্য পূরণ করার চেষ্টা করব। রাজনীতির ময়দান আলাদা, শিক্ষার জায়গা আলাদা। নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। মেদিনীপুরের মাটি আলাদা। এখানকার প্রতিভা সারা বিশ্বকে শাসন করার ক্ষমতা রাখে। নিজের বক্তব্যে দীনেনবাবুর ভূয়সী প্রশংসা করেন হিরণ।
পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ব্যবস্থায় যাঁরা দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সব সময় ঘুষোঘুষি দেখতেই ব্যস্ত তাদের কাছে এক ভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিল খড়গপুর কলেজের মঞ্চ। কলেজের কর্মী রাজা সরকার বলেন, কলেজের আমন্ত্রণে দুই বিধায়ক সাড়া দিয়েছেন। এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা উচিত নয়।